কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা চাঁদ গ্রামের কৃষি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ এম এন্ড ভি ব্রিকস ইটভাটা।উক্ত ইট ভাটায় অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে ইট। কাঠ পোড়ানোই দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয়দের অভিযোগ নিবন্ধন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠেছে ইটভাটাটি।
প্রশাসনের নাকের ডগায় এই এম এন্ড ভি ব্রিকস
ইটভাটার জ্বালানি হিসাবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদ গ্রাম ইউনিয়নের কৃষি জমি দখল করে এম এন্ড ভি ব্রিকস
ড্রাম চিমনির এই ইট ভাটা প্রায় ১০ – ২০ দীঘা জমি দখল করে গড়ে উঠেছে।ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন( নিয়ন্ত্রণ) আইনের ২০১৩ অনুচ্ছেদে ৮ এর( গ) ধারা অনুযায়ী সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন , অভয়ারণ্য, বাগান ও জলভূমি এলাকায় ইটভাটা স্থাপন দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।ইট ভাটার ধোঁয়ায় সাধারণ মানুষ সর্দি-কাশি ,শ্বাসকষ্ট সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।সরজমিনে দেখা গেছে চাঁদ গ্রামের কৃষি জমিতে এম এন্ড ভি ব্রিকস ইট পোড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কাঠ।
ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খেজুর, নারকেল ও সরিষা গাছের গুড়িসহ বিভিন্ন বৃক্ষের কাঠ সংগ্রহ করে ভাটা চত্বরে জড়ো করে রাখা হয়েছে।
ছাড়পত্র নবায়ন শিরোনামে প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যায় আবাসিক বাণিজ্যিক এলাকা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং কৃষি জমিতে ইট ভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে আইনে। কিন্তু বাংলাদেশের বেশিরভাগ ইটভাটা এইসব নিয়ম না মেনেও পেয়েছে পরিবেশ ছাড়পত্র। কি ভাবে?
এলাকাবাসীর অভিযোগ এই ইট ভাটার কারণে পার্শ্ববর্তী স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীর এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও ড্রাম থেকে মাটি পড়ে রাস্তায় প্রতিনিয়ত মানুষজন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ এই অবৈধ ইট ভাটাটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণের দাবি এলাকাবাসীর।
Leave a Reply