কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের দিগরপানখালী খোদারকুম হিন্দুপাড়া এলাকা থেকে দুটি বিপন্ন প্রজাতির ভাল্লুক শাবকসহ আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য দীপক দাশ (পশু দীপক) নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুল ইসলাম এ তথ্য জানান। আটককৃত দীপক দাশ (৩২) চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের খোদারকুম হিন্দুপাড়া এলাকার সোনা রাম দাশের ছেলে। পুলিশ সুপার জানান, জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুই ভাল্লুক শাবকসহ পাচার চক্রের সদস্য দীপক দাসকে আটক করে। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে বান্দরবানের সীমান্ত পথ দিয়ে ১৪ দিন আগে চোরাইপথে ভাল্লুক শাবক দুটি নিয়ে আসা হয়। পরে আর্ন্তজাতিক বাজারে অধিক মুনাফায় বিক্রিতে পার্শ্ববর্তী আরেকটি দেশে পাচারের চেষ্টা চলছিল। এরই মধ্যে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি আরো জানান, ভারত থেকে প্রাপ্ত একটি সূত্রের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন পর বন্যপ্রাণী পাচারচক্রের এই সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তি সাতক্ষীরা ও যশোরের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে আমদানি বা রফতানি নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের সাথে জড়িত। পুলিশ সুপার জানান, এর আগেও ওই ব্যক্তি দুটি ভাল্লুক, দুটি উল্লুক ও ছয়টি লজ্জাবতী বানর পাচার করেছে। আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা রুজু হয়েছে। অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ, আইইউসিএন প্রধানত বনায়ন ধ্বংস ও বন্যপশু শিকারের কারণে ভাল্লুকদের সংকটাপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশে কালো ভাল্লুক মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত এবং বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর তফসিল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
Leave a Reply