শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
নজরুলের ৪৯তম প্রয়াণ দিবসে নোবিপ্রবি ‘শব্দকুটির’-এর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ২৫ গোবিপ্রবিতে সীমানা প্রাচীর, গেইট ও নতুন হল নির্মাণের দাবিতে ছাত্রদলের স্মারকলিপি জেলে সম্প্রদায়: জলাশয়ের সনে মিত্রতা নদী ভাঙ্গন: অস্তিত্বে দিশাহীন প্রান্তিক মানুষ নিখোঁজ মেয়ের খোঁজে পথে পথে বাবা সবুজ গ্রামবাংলা: নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও জীবন্ত চিত্র মানবিক চেতনাবোধ: জীবের প্রতি প্রেম যবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবির সাময়িক বরখাস্ত, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ প্রথম আলোতে ভুল সংবাদ প্রকাশে রবিসাসের তীব্র নিন্দা আশ্বাসের ফাঁদে আটকে নোবিপ্রবির একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন মডেল হতে পারে বরিশাল : শারমিন বিনতে সিদ্দিক মেধা ও মননের বিকাশে নেভি এ্যাংকরেজ স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন জমি বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা, পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান বর্ষা বন্দনা: প্রকৃতি এবং জনজীবন কয়রার মহারাজপুরে ভিডব্লিউবি সঞ্চয় নিয়ে গুজব, চক্রান্তের মুখে চেয়ারম্যান মাহমুদ নোবিপ্রবিতে শিক্ষক বাদশা মিয়ার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মশাল মিছিল সাহসী সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কৃত হলেন গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি লিটু দুর্নীতি-অনিয়ম ঠেকিয়ে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন ইউএনও রুলি বিশ্বাস নোবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগ বিতর্কে নেপথ্যে যা জানা গেল হামলার শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন সভায় হামলা, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর ছাত্র-জনতার উপর হামলার আসামি হারুন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আতঙ্কে এলাকাবাসী জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে যবিপ্রবির ফিজিওথেরাপি বিভাগে দোয়া মাহফিল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে “কুইজ ও আলোচনা সভা” অনুষ্ঠিত 

আন্তর্জাতিক মানদন্ডের বাইরে পাবিপ্রবির ১৯ বিভাগ

দূর্জয় কর্মকার, পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১২০৯ ০০০ বার

বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদন্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থ্যাৎ প্রতি ২০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। তবে এবার এ মানদন্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাবিপ্রবির মোট ২১ টি বিভাগে পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এর মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে লোকপ্রশাসন এবং সমাজকর্ম বিভাগ। বিভাগ দুটিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত যথাক্রমে ১:৬৪ এবং ১:৫৪। অর্থ্যাৎ প্রতি ৬৪ এবং ৫৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিভাগদুটিতে হয়েছেন মাত্র একজন শিক্ষক। যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের মানদন্ডের ধারের কাছেও নেই। এরপরের অবস্থান রয়েছে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ।

এছাড়া যেসব বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই সেগুলো হলো – কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, গণিত, ফার্মেসি, রসায়ন, পরিসংখ্যান, ব্যবসায় প্রশাসন, অর্থনীতি, বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ।

তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ। উভয় বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত যাথক্রমে ১:১৪ এবং ১:২০।

ইউজিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৪৮৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন মোট ১৭৭ জন শিক্ষক। অর্থ্যাৎ প্রতি ৩১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন একজন করে। এর মধ্যে আবার ৩৫ জন শিক্ষক আছেন শিক্ষাছুটিতে।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন – ” পাবিপ্রবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা ব্যতীত আরো অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অর্থ্যাৎ আমাদের অভিভাবক উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য এসব বিষয় নিয়ে সমস্যা সমাধানে খুবই সচেষ্ট। উনাদের নেতৃত্বে বর্তমানে একটি কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনুপাত কেমন হবে তাদের স্ট্যান্ডার্ড মান অনুযায়ী ক্রেডিট কেমন হবে এই বিষয়ে আলোকপাত চলছে যাতে করে শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা গুলোকে সমাধান করা যায়। ”

তবে শিক্ষক সংকটের এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের একাধিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানায় শিক্ষক সংকটের জন্য আমরা সেমিস্টার ঠিকসময় মতো শেষ করতে পারছি না। নতুন কারিকুলাম কার্যকর হয়েছে ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থীদের থেকে। অথচ তাদেরসহ পূর্বের ব্যাচগুলোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস বা কারিকুলাম আসছে না। যার ফলে বিভিন্ন অনিশ্চয়তা কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..