কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাজারবিল ডেইলপাড়া ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় সন্ত্রাসী কর্তৃক একই মাদ্রাসার ১ শিক্ষক ও ছাত্রদের মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘূনিয়া ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম আবু সৈয়দের ছেলে মৌলানা আইয়ুব কালাম, মৌলানা শামসুল হুদার ছেলে মৌলানা মোস্তফা, মরহুম বাছা মিয়ার ছেলে মৌলানা মনছুর আলম সওদাগর, মরহুম ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মোঃ একরামুল হক সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের সন্ত্রাসী দল হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসায় নিজেদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য দাবী করে অনধিকার প্রবেশ করলে মাওলানা জাফর আলম ও অন্যান্য শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসা ও হেফজখানায় হামলা ও দরজা ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। এসময় সন্ত্রাসীদের মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাঁধা প্রদান করতে গেলে শিক্ষক মাওলানা জাফর আলমসহ মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের বেদড়ক মারধর করে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফুলা ও তেথলানো জখম করে। পরে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা জাফর আলম ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের শৌরচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা শিক্ষক মাওলানা জাফর আলমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এসময় এ সন্ত্রাসী চক্র হেফজখানার ফ্যান, লাইট, পর্দাসহ বেশকিছু জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এদিকে, ঘটনার পর পরই মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা জাফর আলম এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করার পর জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে মাওলানা জাফর আলম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে, এ ঘটনার পর স্থানীয় সচেতনমহল সাংবাদিকদের অবগত করলে সাংবাদিকরা সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায় এবং বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা জাফর আলম ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের বেদড়ক মারধরের ব্যাপারে জানান স্থানীয়রা। এসময় স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আরো জানা যায়, ২০১০ সালে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা জাফর আলম অতিকষ্টে এবং কঠোর পরিশ্রমের অর্থ ব্যয় করে দারুল হিকমা হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে। এরপর থেকেই সুনামের সাথে মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসলেও সম্প্রতি মৌলানা আইয়ুব কালাম নামের এক জুলুমবাজ ও দখলবাজ ব্যক্তির নেতৃত্বে হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে এ জুলুমবাজ ও দখলবাজ চক্র হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসা দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া হয়ে মাদ্রাসায় অনধিকার প্রবেশ করার চেষ্টা করলে বাঁধা দেওয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা জাফর আলম ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের এভাবে বেদড়ক মারধর করে। এ বিষয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছেন বলে জানান। এসময় তিনি বলেন, এখনো এক পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তারা উভয়পক্ষকে বসার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনার পর আইন অপরাধীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply