তরমুজ চাষের উপযোগী দুমকি উপজেলার চরাঞ্চলের মাটি। স্হানীয়সহ অন্য এলাকা থেকে এখানে জমি লিজ নিয়ে এবছর তরমুজ চাষ করেছেন অনেক কৃষক। স্বল্প সময়ে অধিক ফলনে লাভবানের আশায় জেলার রাঙ্গাবালি, গলাচিপা, আমখলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দুমকিতে এসে জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন অনেকে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দের ইমেজ লক্ষ্য করা যায়।
উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরব্দী চরে লোহালিয়া নদীর তীর ঘেঁষে ৪/৫ জন কৃষক প্রায় ৭০ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের তরমুজের চাষ করেছেন। তাদের মধ্যে ্ একজন মুরাদিয়ার কৃঞ্চ কান্ত দাস, তিনি ১ম ধাপে ১০ একর ও ২য় ধাপে ১০একর জমিতে বিগ ফ্যামিলি হাইব্রিড এফ-১ জাতের বীজ বপন করেছেন। ২০ একর জমিতে তার প্রায় ১০লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম ধাপের গাছ বেশ ভালো হয়েছে, ফলনও ভালো ধরেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বেশ লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পাশেই রাঙ্গাবালির হোসেন বিশ্বাস, মনির মৃধা ও নিপু হাওলাদার আরো ২০একর এবং লোহালিয়ার কৃষকরা ২০একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছে। উপজেলার পাঙ্গাশিয়ার হাজীর হাট খেয়াঘাটের উত্তর পার্শ্বে অপর এক কৃষক আমতলী থেকে এসে রুবেল সরদার ৫ একর জমিতে এবং পশ্চিম আঙ্গারিয়া, আলগির চর ও দুধলমৌ চরে তরমুজের চাষ করেছেন জমি লিজ নিয়ে রাঙ্গাবালি থেকে এসে বাকের বিশ্বাস, মনজু , সোহেল বিশ্বাস । এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছ বেশ ভালো ধরেছে। ফলন ও ভালো ধরেছে বলে জানান সকল কৃষক। এলাকার কৃষকদের লাভের আশায় দিন রাত অবিরাম কাজ করতে দেখা যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দুমকিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হেক্টর। বাস্তবে চাষাবাদ হয়েছে ১২০হেক্টর। এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেহের মালিকা জানান, চলতি বছরে অন্য উপজেলা যেমন, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী থেকে দুমকি উপজেলায় এসে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে বড় আকারের তরমুজের চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। এসকল কৃষকদের আমরা উৎসাহিত করে, বীজের জাত নির্বাচন, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ পদ্ধতি, পরিচর্যা, সেচ পদ্ধতি সহ নানা ধরনের পরামর্শ ও তদারকি করে আসছি। তিনি আরো বলেন, আমি ও আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিগন মাঝে মাঝে তরমুজের ক্ষেত পরিদর্শন করি এবং কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।
Leave a Reply