‘সায়েন্টিফিক পেপার রাইটিং’ প্রতিপাদ্যকে শিরোনাম করে সেমিনার আয়োজন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ। শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া বিল্ডিংয়ের ৪০১ নং কক্ষে এই সেমিনার আয়োজন করে রসায়ন সমিতি।
রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মোঃ ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ মিজানুর রহমান খান। এছাড়াও সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আশরাফুল আলম (রসায়ন বিভাগ, শাবিপ্রবি) , প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম (রসায়ন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), ড. জহুরুল ইসলাম (প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার বাএএক ) , পাবিপ্রবির রসায়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক রতন কুমার পাল এবং প্রভাষক মোঃ কাওসার হোসাইন। সেমিনারটি পরিচালনা করেন রসায়ন বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ তানভীর হোসাইন।
শুরুতেই অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয়কে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক রতন কুমার পাল এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এরপর প্রধান ববক্তা ড. মোঃ মিজানুর রহমান খান রিসার্চ পেপার কিভাবে লিখতে হবে সেই বিষয়টির উপর সম্পূর্ন একটি গাইডলাইন দেন। প্রতিটা টপিক কিভাবে লিখতে হবে, কতটুকু লিখতে হবে, লেখার মধ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে কিভাবে পরিচ্ছন্ন রাইটিং উপস্থাপন করা যায় সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ধারনা দেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন- ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে পেপার রাইটিং এর ক্ষেত্রে কপি করার প্রবণতা রয়েছে। সেখান থেকে তাদের বের হয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে কনসেপ্ট ভালোভাবে আয়ত্ব করে নিতে হবে। ‘
সেমিনারের আয়োজন এবং প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন – ” আমাদের মাস্টার্স প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন পেপার রিসার্চ এর সাথে যুক্ত। তাদের পেপার রাইটিং এর ক্ষেত্রে কোনো প্রকার যেনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে এবং যেকোনো সমস্যা বা প্রশ্ন যেনো তারা জানাতে ও বুঝে নিতে পারে তাই এই সেমিনারের আয়োজন। ”
রসায়ন সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এই সেমিনার সম্পর্কে সমিতির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মোঃ শরীয়তউল্লাহ জানান – ” রসায়ন সমিতি বরাবরই চায় আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করতে। যার ফলে ক্যারিয়ার বা রিসার্চ সম্পর্কে সুষ্ঠ ধারনা অর্জন হয়। আমাদের শিক্ষকরাও এই বিষয়গুলোতে সবসময় সাপোর্টিভ ভুমিকা রাখেন। “
Leave a Reply