শনিবার (২০ মে) রাত আটটায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গণরুমে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ওঠানোকে কেন্দ্র করে পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেকের সমর্থক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় প্রায় ১০-১৫টি রুমের জানালা-দরজা ভাঙচুর করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগরের সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১১৯ নম্বর রুমে জুনিয়র শিক্ষার্থী তোলে। পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেকের সমর্থকরা এতে বাধা দেয়। এ সময় বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং মুহূর্তেই কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতির ঘটনায় পরিণত হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হল থেকে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আসতে শুরু করে। এতে সংঘর্ষ বড় আকার ধারণ করে। পরবর্তীতে হলের প্রভোস্ট ও প্রক্টরসহ অন্যরা উপস্থিত হলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর বলেন, যারা সাধারণ ছাত্রদের রুম ভাঙচুর করে তারা ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারে না। আমরা আশা করি প্রশাসন দ্রুত জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনবে।
সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেক বলেন, আমরা চাই শান্ত ক্যাম্পাস শান্ত থাকবে। যারা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. জাহিদ হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply