কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা পিয়ারপুর ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোছাঃ জেসমিন সুলতানার স্বামী মোঃ রকিবুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে সরকারী ভাবে প্রতিবন্ধীদের কে প্রদানকৃত ভাতার টাকা আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি জানতে পেরে মোঃ রফিকুল ইসলামের কাছে গেলে তার পোষা লোক দিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। গরিব অসহায় মানুষের টাকা আত্বসাতের পর তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী রাগান্বিত হয়ে মোঃ রফিকুল কে গনধোলাই দেয়। একাধিক প্রতিবন্ধীর টাকা আত্বসাতের অভিযোগ জমা পড়েছে ৮নং পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা বুলবুল মহাদয়ের বরাবর। অভিযোগ পত্র টি হুবহু নিম্নে বর্ণিত হলো।বরাবর, চেয়ারম্যান সাহেব ৮নং পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ দৌলতপুর কুষ্টিয়া । বিষয় ঃ প্রতিবন্ধি ভাতা প্রতারণা করে আত্মসাৎ প্রসঙ্গে । জনাব, বিনীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক উপযুক্ত বিষয়ের আলোকে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আমি মোছাঃ আয়েশা আক্তার, পিতাঃ রজব আলী, গ্রামঃ মিরপুর ইউনিয়নঃ পিয়ারপুর উপজেলা : দৌলতপুর জেলাঃ কুষ্টিয়া আমি প্রতিবন্ধি ভাতার অনলাইনে আবেদন করি এবং আমার প্রতিবন্ধি ভাতা কার্ড চেয়ারম্যান সাহেব করে দিয়েছেন । কিন্তু মোছাঃ জেসমিন সুলতানা – সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা ওয়ার্ড নং ১.২.৩ তাহার সহযোগিতায় তার স্বামী মোঃ রকিবুল ইসলাম, আমার নিকট হইতে প্রতিবন্ধি ভাতা কার্ড করে দিবে বলে নগদ ৪,০০০/- হাজার টাকা নিয়েছিল । শুধু তাই নয় আমার কার্ডে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে তাহার মোবাইল নম্বর দিয়ে জুন/২০২৩ পর্যন্ত ১০,২০০/- টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন । মোবাইল নং ০১৯৬৯-৩৬৫২৬৩। আমি হতদরিদ্র মানুষ আমি খুব কষ্টে জীবন যাপন অতিবাহিত করছি। অতএব মহোদয়ের কাছে আমার আকুল আবেদন আমাকে সু-বিচার পাইয়ে দিয়ে আমাকে বাধিত করিবেন। সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য অনুলীপি প্রেরন করা হইল। ১। উপজেলা নির্বাহী অফিসার – দৌলতপুর কুষ্টিয়া। ২) উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার-দৌলতপুর কুষ্টিয়া । ৩) ৮নং পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এ ব্যাপারে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা বুলবুল এর কাছে সরজমিনে প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন। উক্ত বিষয়ে আমার পরিষদে এখন পর্যন্ত একই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চারটা অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের বিষয়ে থানা নির্বাহী অফিসার ও সমাজ সেবা অফিসারদের সাথে কথা বলেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উক্ত মেম্বার ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply