কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতি ও এডহকভিত্তিতে স্থায়ী নিয়োগসহ ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, গত ৭ মে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আমাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারক লিপি জমা দেই। উপাচার্য আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়নের; কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি করা হয়নি। অন্যায়ভাবে আমাদের অনেকগুলো পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে, উপাচার্য বলছেন সেসব পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব না।
হারুনুর রশিদ বলেন, আজকে পদোন্নতির একটা বোর্ড রয়েছে, যেখানে তিনজন শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়া হবে। গতকালকে আমরা উপাচার্যকে বলেছি, আমাদের পদোন্নতিগুলো দেওয়ার জন্য। কিন্তু উনি বলেছেন পারবেন না। যার কারণে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালনে মাঠে নেমেছি।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ দফা দাবি হলো- নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেডেশন/পদোন্নতির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন/পদোন্নতির দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান; এডহক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ প্রদান; কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি নীতিমালা সংশোধন; কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধন; কর্মকর্তাদের শিক্ষাছুটি, লিয়েন ছুটিসহ যাবতীয় প্রাপ্য ছুটি (হয়রানি ব্যতিত) প্রদান;
কর্মকর্তাদের সুযোগে-সুবিধা না পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয়, কিন্তু সুযোগে-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয় না, এমন দ্বৈতনীতি পরিহার করা; প্রয়াত ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহিদুল ইসলামের সহধর্মিনীর চাকরির ব্যবস্থা করা; ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য গঠিত উপকমিটিতে সকল কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ৪% গৃহ নির্মাণ ঋণ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।
কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, অন্যায়ভাবে আমাদের অনেকগুলো পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে। উপাচার্য পছন্দের মানুষদের পদোন্নতি দিচ্ছেন। সব সুযোগ সুবিধা উপাচার্যের কাছের মানুষজনই পাচ্ছেন। আমরা আমাদের দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় না করে মাঠ ছাড়বো না।
Leave a Reply