গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সেইভ এর উদ্যোগে ১০ ও ১১ নভেম্বর এই দুই দিনব্যাপী কোর ওয়ার্কশপ হয়েছে।
সেইভ ( Students Against Violence Everywhere) মূলত শান্তি, সহনশীলতা, বৈচিত্র্যতা প্রচার করে। এখন পর্যন্ত ১৫ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেইভ এর চ্যাপ্টার আছে। ইউএসএইড, আই.এফ. ই.এস, এম.জি.আর এই ওয়ার্কশপে সর্বিক সহায়তা প্রদান করে।
বশেমুরবিপ্রবির ওয়ার্কশপে মাস্টার ট্রেইনার হিসাবে মাইক্রো গভর্নেন্স রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ এর প্রোগ্রাম অফিসার এবং রিসার্চ এনালিস্ট গাজী রওশন হাবিব আনিকা, সার্বিক সহযোগিতায় বেগম রোকেয়া, বিশ্ববিদ্যালয় সেইভ চ্যাপ্টারের কো প্রেসিডেন্ট মো: আতিকুর রহমান। এছাড়া বশেমুরবিপ্রবি সেইভ চ্যাপ্টার এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি শামীমা ইয়াসমিন তরী, বর্তমান কমিটির কো প্রেসিডেন্ট দিশা হালদার পূজা, জেনারেল সেক্রেটারি কামাল হোসেন ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ার্কশপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছেন। ওয়ার্কশপে গণতন্ত্র, নির্বাচন, বৈচিত্র্য, আদর্শ নেতা, সহিংসতা, সংঘাত, শান্তির সংজ্ঞা, নেতৃত্ব বিষয়ে আলোচনা ও গ্রুপ ওয়ার্ক এর মাধ্যমে ট্রেনিং দেওয়া হয়।
মাস্টার ট্রেইনার সাঈদ বলেন ২০১৮ সাল থেকে সেইভ ক্যাম্পাসে ইয়ুথ রেসিলিয়ানস তৈরীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে চলেছে। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তরুন শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ইথিকাল লিডারশিপ যেমন শিখতে পারে তেমনি তারা যে কোন প্রকার সহিংসতাকে না বলাও শেখে ।
বশেমুরবিপ্রবি সেইভ চ্যাপ্টার এর জেনারেল সেক্রেটারি কামাল বলেন,দীর্ঘ তিনবছর পর বশেমুরবিপ্রবি সেইভ চ্যাপ্টার কর্তৃক দুইদিনব্যাপি কোর ওয়ার্কশপ এর আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে আমরা শান্তি, সহনশীলতা, বৈচিত্র্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেছি। আশাকরি এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে আমরা নতুন লিডারশিপ খুঁজে পেতে সক্ষম হবো।অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সেইভ এর ন্যাশনাল মডারেটর শ্রদ্ধেয় আইনুল ইসলাম স্যারকে দুইদিন ব্যাপি ওয়ার্কসপ আয়োজনের জন্য।
ওয়ার্কসপে একজন পার্টিসিপেট মারিয়া বলেন ,আজকের ওয়ার্কশপে একজন ইয়ুথ লিডার হিসেবে আমার করনীয় কি সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছি। গনতন্ত্র কী, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে কি কি রিকুয়েরমেন্ট প্রয়োজন, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে তা অবশ্যই ফ্রী ফেয়ার এবং বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। একজন লিডারের কি কি রিকুয়েরমেন্ট প্রয়োজন এসব। এছাড়াও ডাইভারসিটি অপিনিয়ন, অপরের অপনিয়নকে সম্মান করে তাতে দ্বিমত পোষণ করা সম্ভব ভায়োলেন্স সৃষ্টি না করে। সর্বপরি সব ক্ষেত্রে সহিংসতা বর্জন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদেএ ইয়ুথ লিডারদের করনীয় কি হতে পারে সেটাই এই ওয়ার্কশপ থেকে শিখেছি।
Leave a Reply