রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মানবিকবিদ্যার গবেষণা প্রবন্ধ: রীতি ও কৌশল’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইকিউএসির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩-এ আজ সকাল ১১টায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ। সেমিনারবক্তা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের অধ্যাপক ড. স্বরোচিষ সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শাহ্ আজম বলেন, গবেষণা ছাড়া সত্যে উপনীত হওয়া যায় না। যুক্তিশৃঙ্খলার উপর ভিত্তি করে, প্রমাণক সহযোগে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সত্যে পৌঁছাতে হয়। গবেষণার ক্ষেত্রে প্রমাণক সংগ্রহ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণার উন্নয়নে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বছরজুড়ে নানা সেমিনার আয়োজন করে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নতুন চিন্তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে। তিনি আজকে এবং আগামীকাল, দুইদিনব্যাপী সেমিনার আয়োজন করায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালকসহ সেমিনারে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
ড. স্বরোচিষ সরকার তাঁর বক্তব্যে নতুন গবেষকদের জন্য যেসব বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন, সেসব বিষয়ে আলোকপাত করেন।
এসময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিকাল ৪টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি আয়োজনে অ্যাকাডেমিক ভবন-৩-এ ‘বাংলাদেশে স্থানীয় ইতিহাস চর্চা’ শীর্ষক আরেকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে সেমিনারবক্তা হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইন্সটিটিউটের ডিস্টিংগুইসড প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান।
উক্ত সেমিনারে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, স্থানীয় ইতিহাস জাতীয় ইতিহাস নির্মাণের ভিত্তিভূমি। তাই স্থানীয় ইতিহাস চর্চায় আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে। বিশেষত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিকৃতিরোধে আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষণায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করবে।
প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, স্থানীয় ইতিহাস, আঞ্চলিক ইতিহাস এসব চর্চার মধ্য দিয়ে বৃহত্তর পরিসরে জাতীয় ইতিহাস চর্চার ধারা সমৃদ্ধ হয়। ইতিহাস পুনর্গঠনে স্থানীয় ইতিহাস চর্চার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এতে কেবল প্রতিষ্ঠানিক গবেষকগণ নন, সাধারণ মানুষ, নানা পেশার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে থাকে।
Leave a Reply