নড়াইলের মেধাবী শিক্ষার্থী এ এম রাকিবুল ইসলাম।অত্যন্ত মেধাবী এ ছাত্র এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় তার পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। তবে তার পড়ালেখা চালানোর খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই। মেডিক্যালে ভর্তির জন্য যে টাকা থাকা দরকার সেই টাকা তাদের কাছে নেই। তারপর রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়া, থাকা-খাওয়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয়ের হিসাব। এসব খরচের হিসাব পরিবারটিকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ শাখার দৃষ্টিগোচর হয় খবরটি।অবগত হওয়ার পরপরই ছাত্রলীগের দুই মানবিক নেতা সভাপতি দুর্জয় পাল এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল জয় ব্যাক্তিগত ভাবে তার খোজ খবর নেন এবং নিজ উদ্যোগে সর্বপ্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভর্তির দিন তারা নিজেরা উপস্থিত থেকে ভর্তির সকল কার্যক্রম সম্পাদন করেন এবং পুনরায় সকল প্রকার সহযোগিতার কথা পুন:ব্যাক্ত করেন।
উল্লেখ্য দুর্জয় জয় কমিটি এর পূর্বেও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রবান্ধব কর্মকাণ্ডের জন্য তুমুল প্রশংসিত।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাকিবুল। সে নড়াইল সদর উপজেলার মধুরগাতী গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক আমজার হোসেন আকুঞ্জীর ছেলে। তার মাতা জাকিরোন নেছা গৃহিণী। রাকিবুলের বাবা কৃষি কাজ করেন। অন্যের ক্ষেতে দিনমজুরির টাকায় তাকে পড়াচ্ছেন দরিদ্র বাবা আমজার হোসেন।
ছাত্র প্রতিনিধিদের এই পদক্ষেপ ছেলেটির শিক্ষা জীবনকে সহজতর এবং পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে বলে সবাই আশাবাদী।
Leave a Reply