আজ পঁচিশে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী। ১৮৬১ সালের (বঙ্গাব্দ ১২৬৮) এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বকবি। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সকাল এগারোটায় মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ্ আজম শান্তনু। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় রবীন্দ্র জয়ন্তীতে অংশগ্রহণ করছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্র জয়ন্তীর কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অংশগ্রহণ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। তিনি বলেন, রবিঠাকুর বাঙালির মানসপটে সদাই বিরাজমান। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্য আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু। তার সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা-সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে, সত্যিকারের মানুষ হতে অনুপ্রেরণা দেয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদেরকে স্বাধীনতার মন্ত্রে বাঁধার শক্তি দিয়েছে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমবেত সংগীত দিয়ে শুরু হয় রবীন্দ্র জয়ন্তীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামী ১০ মে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা দিয়ে সমাপনী হবে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। উক্ত দিনে স্মারক বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ্ আজম।
Leave a Reply