বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটুকে হুমকি প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যেদের রাজাকার পরিবার বলায় সাংবাদিক কে হুমকি দেয় ৩ রাজাকার পরিবারের সদস্য।এ বিষয়ে কয়রা থানায় সাংবাদিকের পক্ষে একটি জিডি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম মানিক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সাকিব। তাঁরা এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বশেমুরবিপ্রবি নেতৃবৃন্দ বলেন, তালিকাভুক্ত রাজাকার পরিবারের তিন সদস্য শফিকুল ইসলাম ঢালী, মাস্টার সদর উদ্দীন সানা ও হুমায়ুন কবির কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এবং দৈনিক আজকের দর্পন পত্রিকার কয়রা প্রতিনিধি তারিক লিটুকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে তারা এলাকায় নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তার করতে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করছেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তারা সাংবাদিক তারিক লিটুকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এছাড়া বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলায় ফাঁসানোরর হুমকি দিচ্ছেন। এখন তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ কারণে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন তিনি।
জানা যায়,১৯৭১ সালের ৫মে মুক্তিযোদ্ধারা ভারত হতে সুন্দরবনের কয়রা অঞ্চল দিয়ে দুটি লঞ্চে করে বরিশালে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানী নেভি ও রাজাকারদের সাথে যুদ্ধ বাঁধে, অভিযুক্ত পরিবারের রাজাকার সদস্যদের সহযোগিতায় ১৯ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং মুক্তিযুদ্ধাকে কাশেম হাওলাদারের বাড়িতে বেঁধে নির্যাতন করে।এদের মধ্যে কয়েকজন ছিল তৎকালীন ছাত্র নেতা।ভাগ্যক্রমে এমপি আ.স.ম ফিরোজ সহ ৩ জন কাশেম হাওলাদারের বাড়ি হতে পালিয়ে বেঁচে যায়।বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানী নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেয় অভিযুক্ত পরিবারের রাজাকারের সদস্যবৃন্দ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা রাজাকারের তালিকায় এ তিন ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে রাজাকারের তালিকায় শফিকুল ইসলামের বড় ভাই প্রয়াত রফিকুল ইসলাম ঢালী ও হুমায়ুন কবিরের আপন চাচা কাশেম হাওলাদার। এছাড়া মাস্টার সদর উদ্দীনের আপন ভাই আলাউদ্দীন সানা ছিলেন শান্তি কমিটির সভাপতি।
সাংবাদিক নেতারা বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি তারিক লিটুকে হুমকি প্রদানকারী ব্যক্তিদের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আইন-শৃঙ্খলাকারী বাহিনীর প্রতি বিশেষ আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবিলম্বে সাংবাদিক তারিক লিটুকে হুমকি প্রদানকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে অন্যথায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
Leave a Reply