কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এর গণসংবর্ধনা শেষে ফেরার পথে সংবর্ধনায় আগত কর্মীদের গাড়ী বহর গতিরোধ করে মারধর ও হামলার ঘটনায় সাহারবিল ইউপির চেয়ারম্যান নবী হোছাইন, কোনাখালী ইউপির চেয়ারম্যান দিদারুল হক, ডুলাহাজারা ইউপির চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর সহ ৫০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটির বাদী পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু বক্কর। এঘটনার বিষয়ে মামলার বাদী জানান, গত ২৮আগষ্ট চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনালে সালাহউদ্দিন আহমদ এর গণসংবর্ধনা শেষে পেকুয়ার উদ্দেশ্য ফেরার পথে কেবি জালাল উদ্দীন সড়কের কোরালখালী এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় চেয়ারম্যান বহু মামলার আসামী, গরু চোর চক্রের প্রধান নবী হোছাইন সংঘবদ্ধ দলবলসহ অপরাপর আসামীদের নিয়ে গাড়ী বহরে হামলা ও ভাংচুর চালায় এবং নেতাকর্মীদের তার বাড়ির সীমানার ভেতরে ডুকিয়ে দেশী অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আবু বক্কর, আহমদ সফি, দিল মোহাম্মদ, তুহিন, উসমান গণি, হুবাইব, মোস্তাফিজুর রহমান আবিদ, আবু সুফিয়ান, আবু ওমর, সাইফুল আজম, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসন, আহমদ হোসন, নুরুচ্ছফা সহ ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আহত করেন। গুরুত্বর আহতরা উন্নত চিকিৎসার জন্য চ.মে.ক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরও জনপ্রতিনিধি রুপী সন্ত্রাসী, দখলবাজ ,চিহ্নিত গরু চোর, বহু মামলার আসামী নবী হোছাইন সাধারণ মানুষের উপর কিভাবে এমন ন্যাক্করজনক হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে তা জনমনে প্রশ্ন জেগেছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তির দাবী জানান মামলার বাদী। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সাহারবিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply