রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক মীর ইয়ামিন আলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছারা খাতুনের অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে কেন্দ্র করে মীর ইয়ামিন আলী কর্তৃক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
আজ ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী লাইব্রেরীতে মীর ইয়ামিন আলী ও তার সহকর্মী ছারা খাতুনের সাথে মারমুখী অবস্থা সৃষ্টির এক পর্যায়ে লাইব্রেরিতে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী এগিয়ে আসলে তার সাথে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা তখন লাইব্রেরীতে পড়তেছিলাম। তখন কিছু বহিরাগত লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে। এসময় সিসিটিভি ক্যামেরা অফ করে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার ফোন চেক করে এবং আমাদের এক সিনিয়র ভাইয়ের গায়ে হাত তোলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমন বলেন, মীর ইয়ামিন ও ছারা খাতুনের ঝামেলার এক পর্যায়ে ইয়ামিন এর সাথে আসা বহিরাগতরা বলছিলেন ১৫ বছর অনেক খেয়েছেন, কিছু বলতে পারি নাই। একথা বলার পর আমি (ইমন) বলছিলাম ভাই আপনারা কার জন্য আসছেন? আপনারা যার জন্য এসেছেন উনিও (ইয়ামিন) তো আওয়ামীলীগের লোক।
এই কথা বলাতেই ওনি (ইয়ামিন) আমাকে একটা ধাক্কা দিয়ে বলেন যে উনি (ইয়ামিন) নাকি বিএনপি পরিবারের সন্তান।
এদিকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে অভিযুক্ত সহকারী গ্রন্থাগারিক মীর ইয়ামিন আলী জানান, ঝামেলাটা আমার কলিগের সাথে। এখানে শিক্ষার্থীদের সাথে আমার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। পূর্বে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছারা খাতুন আমাকে লোকজন নিয়ে এসে আমার অফিসে হুমকি দিয়েছিলো।ফোনেও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আজকে তার মিমাংসার জন্য আমরা বসেছিলাম। আগে যে হুমকি দিছিলো তার সিসি টিভি ফুটেজ আছে।
এবিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছারা খাতুন মুঠোফোনে জানান, মীর ইয়ামিন আলী প্রথমে দুজন বহিরাগত এনে আমাকে এক ঘন্টার মতো হেনস্তা করেন। পরে আরো ৬-৭ জন এনে আমার রুমে থাকা সকল স্টাফদের বের করে দিতে চান। আমাকে একা রুমে বন্দি করার উপক্রম হলে আমি দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যাই। পরে বাইরে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মারতে আসলে সেখানে বাধা দিতে গেলে একজন শিক্ষার্থী ও একজন কর্মীকে থাপ্পর ও থাক্কা দেন।
শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত সহকারী গ্রন্থাগারিক মীর ইয়ামিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করা হলে মাননীয় উপাচার্যের সদয় নির্দেশনায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা লাইব্রেরীতে উপস্থিত হয়। উপস্থিত বিভিন্নজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রক্টোরিয়াল বডি একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরাও একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।
Leave a Reply