চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়া খালী ইউনিয়ন বিএনপির ঘরে ঘাপটি মেরে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে এক গোপন সোর্স।
নিজেকে সামনের সারির নেতা হওয়ার সুযোগ নিতে আওয়ামী লীগের পকেট থেকে টাকা নিয়ে এ অপকর্ম করে যাচ্ছে। এনিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার ফাঁসিয়া খালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক( এখন বিলুপ্ত) হিসেবে কমিটিতে স্থান পাওয়া মৌলভী এহেসান নিজের খোলস পাল্টে আওয়ামী লীগের সাথে গোপন আতাঁত করে বিএনপির কার্যক্রমকে দূর্বল করার কাজে মেতে উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ফাঁসিয়া খালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ যুবলীগের কিছু সন্ত্রাসীদের সাথে আঁতাত করে জমি দখল, পাহাড় দখল, ছড়া খাল দখল ও মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসচ্ছে।
এতে করে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে দল থেকে বহিষ্কারসহ কমিটি নতুন কমিটি গঠন করার জন্য আবেদন করে।
স্থানীয় বেশ কিছু বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, উক্ত মৌলভী এহেসান বড় নেতা পরিচয় দিয়ে, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে যাচ্ছে।
গতকাল ৯ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের এক বিজ্ঞপ্তিতে ফাঁসিয়া খালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
অভিযোগ উঠেছে, ফাঁসিয়া খালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও হেলাল চেয়ারম্যানের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে।
আরো অভিযোগ পাওয়া গেছে, মৌলভী এহেসানের পরিবারের রয়েছে নানা অভিযোগ।
তার বড় ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রের গড়ে উঠা ফুযাদ বাংলাদেশ নামের হাই হাই কোম্পানি সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। এছাড়া তার পিতার রয়েছে দুটি হত্যা মামলাসহ বেশ কিছু মামলা। এছাড়া রয়েছে, গিয়াস চৌধুরী সাথে পরে জমি দখল করে যৌথ খতিয়ান।
সুত্র জানায়, আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন সময় গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মেজর ইব্রাহিম, ফজলুল করিম সাঈদী ও হেলাল চেয়ারম্যানের সাথে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে। যাহা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল।
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের নিয়ে কাকারা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের জায়গা জমি দখল, ফসল নষ্ট, সামাজিক বনায়নে গাছ লুট, ও বনভূমি জবর দখল করার হুমকি দিয়ে দেড় লাখ টাকা চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এমন একজন পট্টিবাজ আওয়ামী লীগের গুপ্ত চরের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দায়ের করেছে। তার এহেন কর্মকান্ডে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা অবগত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও আওয়ামী লীগের গোপন সোর্স হিসেবে যুক্ত থাকার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দলের হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Leave a Reply