নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. অহিদুজ্জামানের সময় ১৩ জন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে (সার্কুলার ভিত্তিক) বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি, সিলেকশন বোর্ডে যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিল তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সরবরাহ করতে বলেছে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী থেকে।
এছাড়াও, দুই শিক্ষককে তলব করেছে দুদক।
০৪ মে, ২০২৫ ইং তারিখে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী থেকে একটি চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়। চিঠিতে বলা হয়, ” ড. মো: অহিদুজ্জামান, সাবেক উপাচার্য, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী উপাচার্য থাকালীন নিম্নবর্ণিত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে (সার্কুলার ভিত্তিক) বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি, সিলেকন বোর্ড এ যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিল তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, জাতীয়পরিচয়পত্রের ফটোকপি আগামী ০৭/০৪/২০২৫ খ্রি. তারিখের মধ্যে সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
যেসকল শিক্ষকের নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লোকদের তথ্য চাওয়া হয়েছে সেউ ১৩ জন শিক্ষক হলো, ” অধ্যাপক ড. দিব্যদৃতি সরকার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মমিন সিদ্দিকী (সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন (বাংলা বিভাগ), প্রভাষক মোঃ সোহানুজ্জামান (বাংলা বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ড. আ.শ.ম. শরিফুর রহমান (প্রানীবিদ্যা বিভাগ),অধ্যাপক ড. মোঃ আতিকুর রহমান ভূঁইয়া (কৃষি বিভাগ), অধ্যাপক ড. গাজী মোঃ মহসিন (কৃষি বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া (আই আই টি), সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মোঃ সিয়াম (শিক্ষা বিভাগ), অধ্যাপক ড. এমডি মাসুদ রহমান (বাংলা বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকার (বিএমবি বিভাগ), সহকারী অধ্যাপক ইমরুল কায়েস (ইএসডিএম বিভাগ)।
একই দিনে অন্য দুটি চিঠিতে দুই শিক্ষককে তলব করেছে দুদক। তারা হলেন, শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মোঃ সিয়াম এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ সোহানুজ্জামান। চিঠিতে বলা হয়, ” জনাব ড. মোঃ অহিদুজ্জামান, সাবেক উপাচার্য, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্ণিত মামলায় বিষয়ে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, উল্লিখিত অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের লক্ষ্যে আগামী ০৭/০৫/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ ১১:৩০ ঘটিকায় নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে (জাতীয় পরিচয়পত্র) সাথে নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হল। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার কোন বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নোবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বলেন,
” আমরা উত্তর পাঠিয়েছি। এটি মূলত সাবেক উপাচার্যের সময়ে দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে চিঠি দিয়েছিলো আমাদের। এছাড়াও, আরো দুই শিক্ষককে সাক্ষাৎকারের জন্য পাঠিয়েছিলো আমরা তাদেরকেও জানিয়েছি “।
Leave a Reply