পরিবেশ অধিদপ্তরের সুপারিশকৃত ৩৩ একর বনায়ন, পুকুর ও লেকের পরিকল্পনার পর ২০১৯ সালে ছাড়পত্র পায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্রস্তাবিত অঞ্চলটি। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় চলনবিল নেই, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কোন প্রকার বাছ-বাছাই ছাড়াই জাতীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো “চলনবিলে কেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করেছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে নিন্দা জানিয়েছে অত্র বিশ্বব সাংবাদিক সমিতি (রবিসাস)।
শনিবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে সংগঠনটি। এতে তারা জানায়,
“পরিবেশ অধিদপ্তরের চাহিদামাফিক ৩৩ একর বনায়ন, পুকুর, লেকসহ সকল পরিবেশগত প্রয়োজনীয়তা পূরণের পরেও এক শ্রেণীর লোক রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করতে না দেওয়ার হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যেই দেখিয়েছে যে চলনবিলের ৯টি উপজেলার মধ্যে শাহজাদপুর নেই। তাছাড়া চলনবিলের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রকল্প এলাকার দূরত্ব ৬৮ কিলোমিটার। কোন প্রকার পূর্ণাঙ্গ বাছাই ছাড়া একটি জাতীয় গণমাধ্যমের এমন সংবাদ নিশ্চিত অর্থে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।”
রবিসসের নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা সাংবাদিকতা পেশার স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করি। তবে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও মিথ্যা তথ্যভিত্তিক সংবাদ শুধু প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অবিলম্বে ভুল তথ্য সংশোধন ও সত্য তথ্য প্রকাশের জন্য প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার কোন উদ্যোগ না গ্রহণ করায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে ৯ বার মন্ত্রনালয়ের সুপারিশে ডিপিপি সংশোধন করার পরে একনেকে গেলেও এখনো তা পাস হয় নি।
Leave a Reply