বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১১ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
মানবিক চেতনাবোধ: জীবের প্রতি প্রেম যবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবির সাময়িক বরখাস্ত, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ প্রথম আলোতে ভুল সংবাদ প্রকাশে রবিসাসের তীব্র নিন্দা আশ্বাসের ফাঁদে আটকে নোবিপ্রবির একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন মডেল হতে পারে বরিশাল : শারমিন বিনতে সিদ্দিক মেধা ও মননের বিকাশে নেভি এ্যাংকরেজ স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন জমি বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা, পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান বর্ষা বন্দনা: প্রকৃতি এবং জনজীবন কয়রার মহারাজপুরে ভিডব্লিউবি সঞ্চয় নিয়ে গুজব, চক্রান্তের মুখে চেয়ারম্যান মাহমুদ নোবিপ্রবিতে শিক্ষক বাদশা মিয়ার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মশাল মিছিল সাহসী সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কৃত হলেন গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি লিটু দুর্নীতি-অনিয়ম ঠেকিয়ে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন ইউএনও রুলি বিশ্বাস নোবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগ বিতর্কে নেপথ্যে যা জানা গেল হামলার শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন সভায় হামলা, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর ছাত্র-জনতার উপর হামলার আসামি হারুন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আতঙ্কে এলাকাবাসী জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে যবিপ্রবির ফিজিওথেরাপি বিভাগে দোয়া মাহফিল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে “কুইজ ও আলোচনা সভা” অনুষ্ঠিত  নারী শিক্ষার্থীর থেকে চাঁদা দাবি; কথিত সাংবাদিককে শিক্ষার্থীদের গণধোলাই নোবিপ্রবিতে একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১০১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী যবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিজিওথেরাপি কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন   নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের বাসে সন্ত্রাসী হামলা নোবিপ্রবিতে সিজিপিএ ভিত্তিতে ছাত্র পরিষদে মনোনয়ন : শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভ নোবিপ্রবিতে জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব ১৮ জুন

যবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবির সাময়িক বরখাস্ত, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

যবিপ্রবি প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৩ ০০০ বার

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এর ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবিরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ করেছে, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ড. ফিরোজ কবিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করা হয়নি। যবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ শিক্ষার্থীদের বলেন,

“এ বিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। যদি সত্যিই ড. ফিরোজ কবির নির্দোষ হন, তাহলে তিনি হাইকোর্ট থেকে রায় নিয়ে আসতে পারেন।”

ভুক্তভোগী ড. ফিরোজ কবির বলেন, আমি এখনো কিছুই জানিনা তবে লোকমুখে শোনা কথার ভিত্তিতে আমাকে যেসব কারন দেখিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এগুলোর সাথে আমি কোনো ভাবেই জড়িত নই বরং তৎকালীন প্রশাসন এসব ভালো বলতে পারবে। সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভালো কাজ করেছি, কারন শিক্ষকতা আমার শুধুমাত্র চাকুরী নয় বরং পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য । একদল কুচক্রী মহলের চক্রান্ত এর পেছনে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তারা বার বার মাননীয় উপাচার্য স্যারকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে, তবে মাননীয় উপাচার্য স্যার, মাননীয় ট্রেজারার স্যারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উপর আমার পুর্ণ আস্থা আছে ন্যায় বিচারের বিষয়ে।

ড. ফিরোজ কবিরের বরখাস্তের প্রতিবাদে সারাদেশের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শিক্ষার শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছেন। তারা আশা করছেন, বিষয়টি শিগগিরই সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার পাবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের একাংশ জানিয়েছে, তারা চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরো স্বচ্ছতার সাথে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, ড. ফিরোজ কোনো দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা প্রশাসনের উত্থাপিত অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত নন বরং তিনি জুলাই-আগষ্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে অনেক শিক্ষার্থীর খাবারের ব্যবস্থা করেছেন ও গাড়িভাড়া দিয়েছেন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন । তাঁরা বলেন,

“ড. ফিরোজ স্যার একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও মেধাবী শিক্ষক যিনি বৈশিক ফিজিওথেরাপি সংস্থা কতৃক ১৪৭টি দেশের মধ্যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শিক্ষায় বিশ্বের সর্বোচ্চ পদক প্রাপ্ত-২০২৩। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেসব কারণ দেখিয়ে তাঁকে বরখাস্ত করা করেছে সেগুলো বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

শিক্ষার্থীরা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করেন, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে শিক্ষাগত ও গবেষণার মান উন্নয়নে ড. ফিরোজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি একটি স্বতন্ত্র চিকিৎসা পেশা হিসেবে স্বীকৃত। এ বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে তিনি সবসময় সচেতন থেকেছেন এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর মবের কারনে তাঁকে বরখাস্ত করেছে। তাঁরা দ্রুত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং ড. ফিরোজ কবিরের পূর্ণ মর্যাদা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেন যে যবিপ্রবি-র মাননীয় উপাচার্য স্যার এবং মাননীয় ট্রেজারার স্যার অত্যন্ত বিচক্ষণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কমিটেড। সুতরাং তারা অবশ্যই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমরা আশাবাদী। তারা বলেন যেসব কারন দেখানো হচ্ছে সেসব কারন ধরলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষই দায়ী কারন ২০০৮ সালের পর শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হওয়ায় সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন পদ পদবীতে থেকেছেন, আজও তারাই বর্তমান প্রশাসনেরও খুব কাছে। বরং ড. ফিরোজ কবির কোন দিনই কোন প্রশাসনিক পদে ছিলেন না এবং তিনি শিক্ষা ছুটি শেষে ১জুলাই ২০২৫খ্রি. যোগদান করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তার যোগদান গ্রহণ না করে ১.৫মাস পর রিজেন্ট বোর্ডে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। ক্যাম্পাসে আলোচনা আছে যে এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত যে কারনে তার যোগদান এতদিনেও গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন যে যবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে যৌক্তিক দাবির পর বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে তাদের ভয়ভিতি দেখানো হচ্ছে তারা এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট জানাবেন। তারা বলেন যে আমাদের বিভাগের মত ডিসিপ্লিনড বিভাগ খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে, আমরা ৯-৫টা ক্লাসের পরও আমাদের শিক্ষকগণ আমাদের লেখাপড়ায় সাহায্য করে থাকেন। যবিপ্রবির অপেক্ষাকৃত নতুন বিভাগ হলেও ফিজিওথেরাপি বিভাগ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে যা অনেকের জন্য জেলাস। বিগত ফ্যাসিস্টপন্থি বঙ্গবন্ধু পরিষদের, সিআরআই, ওয়ান বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতারা যেখানে প্রশাসনের সকল পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে, অথচ শিক্ষা ছুটি শেষে একজন শিক্ষক মাত্র যোগদান করতেই তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত রাঘব বোয়াল ধরা, চুনপুটি নয়। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখতে চান ন্যায় বিচারের বিষয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..