বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দৈনিক সমকালে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে  শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ বর্ণাঢ্য আয়োজনে হকৃবিতে প্রথম ‘বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২০২৪ উদযাপিত চকরিয়ায় জেলের ছদ্মবেশে অভিযান; ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ আটঘরিয়ায় ৩ কৃষকের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভস্মীভূত বাউরেসের কৃষি সাংবাদিকতা পুরস্কার পেলেন আবুল বাশার মিরাজ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয় সভা আটঘরিয়ার একাডেমিক সুপারভাইজারের বিদায় সংবর্ধনা চকরিয়ায় মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গণ-ডাকাতি, গুলি বিনিময়, পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ২ পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঝিনাইগাতী’র সভাপতি নাজমুল, সম্পাদক জিম পাথেয় এর সভাপতি মামুন, সম্পাদক শারীফুল ইসলাম “পহেলা বৈশাখ ও সাম্প্রদায়িক বিতর্ক “ ঈশ্বরদীর নওদাপাড়ায় ৪র্থ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ঈদের শুভেচ্ছা জানালো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সহস্রাধিক সাইটেশনের মাইলফলক স্পর্শ করলেন রবীন্দ্র উপাচার্য  ইদের পরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি হবে: শেখ ইনান প্রথম বর্ষে ভর্তিপরীক্ষা বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত মৌলবাদ জঙ্গিবাদ মূলোৎপাটন ও বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মানববন্ধন নোবিপ্রবির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর যবিপ্রবিতে পিএইচডি সেমিনার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসনের নিমিত্ত অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত  যশোরে সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা সবুজ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণদের ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’ ডিআইইউ’র ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে মানববন্ধন  স্বাধীনতা দিবসে ইবির খালেদা জিয়া হলে আলোচনা সভা ও দোয়া   রবির কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ সমিতির দায়িত্বে জ্বীম-মনির

ঈদ স্মৃতিচারণ

রেজাউল করিম ফেরদৌস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৭ মে, ২০২০
  • ৪৭৭ ০০০ বার

  ঈদ স্মৃতিচারণ……

ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে। তখন ঈদের একটা আলাদা আমেজ ছিল। রোজার মাসে সাধারণতঃ শীত থাকত। শীতের রাতে জবু থবু হয়ে সেহরি খেতে উঠতে হতো। লেপের নিচ থেকে উঠতে ইচ্ছে করতো না। মা আগেই উঠে খাবার সব গরম করে রাখতেন। সারাদিন উপোস থাকতে কী কষ্টটাই না হতো! মনে আছে ছোটো বেলায় পানিতে ডুব দিয়ে একটু পানি খেয়ে নিতাম। ভাবতাম আল্লাহতো আর দেখতে পাবে না! ইফতারির আগে সময় যেন ফুরোতেই চাইতো না। রাতে চলে যেতাম তারাবির নামাজ পরতে মসজিদে। মাসব্যাপী রোজা শেষে যেদিন চাঁদ দেখার কথা সেদিন কী উত্তেজনাই না বিরাজ করত ছোটদের মধ্যে। চাঁদ দেখার জন্য খোলা মাঠে ছুটে যাওয়া বা উঁচু কোনো জায়গায় উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। চাঁদ দেখা গেলে কী আনন্দ। কাল ঈদ! রেডিও টেলিভিশনে বেজে উঠে ..’রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ..’ সারারাত আনন্দে ঘুমই হয় না। রাতে তারাবাতি জ্বালানো হতো।
রোজার মাস জুড়ে আছে নতুন কাপড় কেনাকাটার ধুম। বাবার হাত ধরে বাজারে যাওয়া ঈদের শার্ট কিনতে। প্রত্যেক বাবা-মা’ই চান তার সন্তানের জন্য নতুন কাপড় কিনে দিতে। কিনে দিতে না পারলে যেমন দরিদ্র পিতার মন খারাপ হয় তেমনি সন্তানেরও আনন্দটা নষ্ট হয়। ঈদে তার সন্তান নতুন কাপড় পড়বে না তা কি হয়! ছোটরা নতুন কাপড় কিনে কেউ কাউকে দেখাত না। ঈদের আগেই দেখে ফেললে মজাটা নষ্ট হয়ে যায় না! তাই লুকিয়ে রাখে। এই নিয়ে ছোটদের মধ্যে মন কষাকষিও হয়। আর যারা নেহায়েৎই নতুন কাপড় কিনতে পারে না তারা পুরনো কাপড়টাকেই ভালমতো ধুয়ে ঈদের রাতে ইস্তিরি করে নেয়। ধোপাবাড়িতেও যেন উৎসব লেগে যায়।
রোজার পুরো মাস মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজ আর ইফতারির ধুম।
শবে কদরে সারারাত ছেলেদের ঘুরে ঘুরে মসজিদে নামাজ পড়া আর রুটি হালুয়া খাওয়া। যার যে রকম সাধ্য আছে সে সেই রকমভাবে ঈদ করে। আজকাল কত বদলে গেছে সব কিছু। কেউ হয়ত কোন রকম ইফতারিটা সেড়ে ফেলে আর কেউ কেউ শেরাটন সোনারগাঁয়ে তিন চার হাজার টাকা দিয়ে ইফ্তার করে। ঢাকা শহরে ইফতারির বাজার বসে যায় সর্বত্র। ইফতার কালচার বলে একটা কথা চালু হয়ে গেছে দেশে। রাজনৈতিক ইফতার বেশ জমজমাট। জাকাতের কাপড় বিলি করতে গিয়ে কত লোক মারা যায় দেশে। ঈদের সময় দূর-দূরান্ত থেকে ভিক্ষুকরা এসে ভীড় করে ঢাকায় দুটো পয়সার জন্য।
ঈদের দিন খুব ভোড়ে ঘুম থেকে উঠেই ঘরে ঘরে গিয়ে সেমাই ফিরনি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর গোসল টোসল সেড়ে কড়কড়া ভাজভাঙ্গা জামাকাপড় পড়ে মা বাবাকে সালাম করে ঈদগাহ মাঠে যাওয়া হয় দল বেঁধে। ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করা। ছোট ভাই বোনের জন্য খুরমা, বেলুন, বাঁশি কিনে আনা। নামাজ পড়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে মায়ের পোলাউ মাংস রান্না শেষ। তারপর খাওয়া দাওয়ার ধুম। বিকেল হলে সেজে গুজে আত্মীয় বাড়িতে যাওয়া। সত্যি আমাদের দেশের ঈদ উৎসবের কোনো তুলনা হয় না। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু বদলে যায়। আজকের দিনে হয়ত আর সেই পুরনো আমেজটা নেই। কিন্তু তারপরও দেশের ঈদ বলে কথা!

 

লেখকঃ রেজাউল করিম ফেরদৌস, 

 নির্বাহী সম্পাদক,দৈনিক উন্নয়নের কথা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..