কতটা যৌক্তিক??
প্রতিদিন সকালে আড়মোড়া ভেঙে কোনরকমে ফ্রেশ হয়ে দৌড়, উদ্দেশ্য সকালের প্রথম পিরিয়ড এর ক্লাস ধরা। ঠিক এরকমই রুটিনে শুরু হয় ম্যাক্সিমাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর প্রতিটি সকাল। এরপর সারাদিন ক্লাস, ল্যাব, মিড এক্সাম, আড্ডা, ঘোরাঘুরি, টঙের চা, ক্যান্টিনের খাবার, ক্যাফেটেরিয়ার চা কফি, তারপর সন্ধ্যা হলে ফেরা। এরকমই জীবন ধারায় অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া আমাদের জীবন যেন হঠাৎ থমকে গিয়েছে এক ধাক্কায়। আজ ৩ মাস এর মত সময় ধরে বাসায়। জীবনে যেন এসেছে আমুল পরিবর্তন। কে কিভাবে নিচ্ছে এই পরিবর্তন সেটা জানতেই আমরা বাংলাদেশ সারাবেলার শিক্ষাঙ্গন প্রতিনিধি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের সোস্যাল মিডিয়ার স্ট্যাটাস জরিপ করেছি। মিশ্র প্রতিক্রিয়া তাদের মধ্যে কেউ ইনজয় করছে আবার কারো জীবন বিপন্ন। আসলে একটা পরিবর্তনককে কে কতটা গঠনমূলক ভাবে নিতে পারে সেটাই শেখানো উচিত ছিল প্রতিটি শিক্ষার্থীদের। আমার কাছে ব্যাপারটা অস্বাভাবিক লেগেছে কতটা বেপরোয়া জীবনে আমরা অভ্যস্ত হয়েছি যে আজ ৩ মাস আমাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য ঘরে থাকাটাই আমাদের কে এভাবে ভাবতে বাধ্য করছে যে, মুক্তভাবে ৬ দিন বাচা বন্দী ৬ মাসের চেয়ে শ্রেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিয়েছে সেটা কতটা যৌক্তিক আমার জানা নেই তবে মনে হয় এতে করে আমাদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্মূখ আশংকা রাখে। আপনাদের কাছে প্রশ্ন, এই যুদ্ধ যদি দৃশ্যমান কোন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হত তখনই কি আপনারা সার্টিফিকেট, ডিগ্রী চাকরির বয়স শেষ এগুলো নিয়ে ভাবতেন? আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, কিংবা বিশ্বযুদ্ধ ১;২ এও কি ভেবেছিল? এই প্রতিপক্ষ ও তো দৃশ্যমান প্রতিপক্ষের চেয়ে কম শক্তিধর নয়, তবে কেন আমরা জাতির সূর্যসারথিরা এই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গঠনমূলকভাবে প্রতিরোধ না গড়ে ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে ভাবছি? ভেবে দেখুন ভাবার সময় এসেছে।
লেখাঃ নুসরাত মিলি, শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a Reply