কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সংক্রমণ শূন্যে নেমেছে।
কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ এর পিসিআর ল্যাবের তথ্যমতে গতকাল ২৯ জুন কুষ্টিয়ায় ২৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেও ভেড়ামারায় করোনা ভাইরাসের নতুন সংক্রমণ নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভেড়ামারায় সংক্রমিত এলাকা গুলোতে একযোগে চলছে কঠোর লকডাউন। ভেড়ামারার রেড জোন এর অন্তর্ভুক্ত এলাকা গুলোর মধ্যে রয়েছে বাহিরচর ইউনিয়ন, চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন এবং ভেড়ামারা পৌরসভা। কঠোর এবং কার্যকর লকডাউনের ফল স্বরূপ ঈদুল ফিতররে ছুটিতে ঢাকা সহ সারাদেশ থেকে আগত ব্যাক্তিদের মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত পরশু দিন ৪ জন সনাক্তের পর গত কাল পর্যন্ত আর কোন নতুন সংক্রমণ সনাক্ত হয় নি। এদিকে সংক্রমণ কমাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন। একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে আইন অমান্যকারীদের অর্থ দণ্ড দেওয়া, দোকান সিল গালা করা সহ সচেতনতা বৃদ্ধিতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে আরও কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর গন। ২৫ জুন থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত। লকডাউন চলাকালীন সময়ে কেবল মাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালের দোকান ও কাঁচাবাজার ১২ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে ঔষধের দোকান খোলা থাকবে সারাদিন। উল্লেখ্য যে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস জয় করেছেন ভেড়ামারা পৌরসভার সম্মানিত মেয়র জনাব শামিমুল ইসলাম ছানা। নগরীকে ভাইরাসের সংক্রমণ মুক্ত রাখতে সর্বস্তরেরে জনগনের সাহায্য চেয়েছেন সম্মানিত উপজেলা প্রশাসক সোহেল মারুফ। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে কোন এনজিও ৩০ সেপ্টেম্বর এর আগ পর্যন্ত জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করতে পারবেনা। কেউ জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করতে চাইলে ধরে থানায় সোপর্দ করারা জন্য বলা হয়েছে।
Leave a Reply