সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ভুয়া করোনা রিপোর্ট প্রদানকারী বিতর্কিত শাহেদ অস্ত্রসহ আটক হয়েছেন।
রিজেন্ট হাসপাতালের নানাবিধ অসংগতি মামলার প্রধান আসামী শাহেদকে ধরার জন্য র্যাব বিশেষ অভিযান চালনা শুরু করে।
তারই ধারাবাহিকতায় লেঃ কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম এর নের্তৃত্বে র্যাবের কড়া নজরদারি ছিল সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকায়।
আজ সকাল আনুমানিক ৫ টা ১০ মিনিটের দিকে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বহুল আলোচিত শাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এসময় তার কাছ থেকে ১ টি পিস্তল এবং ৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করে র্যাব। শাহেদ উক্ত অস্ত্র সহ বোরকা পরিহিত অবস্থায় ছদ্মবেশে নৌকা যোগে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিল।
আজ সকাল ৯ঃ৩০ মিনিটের দিকে শাহেদকে নিয়ে হেলিকপ্টার যোগে র্যাব সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য গমন করে।
তারপর ঢাকার উত্তরার ১১নং সেক্টরে শাহেদের বাড়িতে শাহেদ এবং মাসুদকে( মামলার ২ং আসামী) নিয়ে র্যাব অভিযান চালায়।
সেখান থেকে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করে র্যাব।
উল্লেখ্য রিজেন্ট হাসপাতালের কিছু অসংগতি দেখে, গত ৬ই জুলাই সেখানে র্যাব অভিযান চালায়। এরপর শাহেদকে প্রধান আসামী করে মোট ১৭ জন এর বিরুদ্ধে র্যাব একটি মামলা করে। গত ১৪ই জুলাই মামলার ২য় আসামী মাসুদকে কাপাসিয়া থকে র্যাব গ্রেফতার করে।
আসামী শাহেদের বিরুদ্ধে করোনার ভুয়া রিপোর্ট সহ মোট ৫৯ টির ও বেশি মামলা আছে।
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বিনামূল্যে টেস্ট করার কথা থাকলেও শাহেদ প্রতি পরীক্ষার জন্য ৩০০০ টাকা ফি নিত। সে সর্বমোট প্রায় ৬ হাজার ভুয়া রিপোর্ট করেছিল।
সে এতদিন ঢাকা, সাতক্ষীরা, কক্সবাজারে, চিটাগাং এবং কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্নগোপন করে ছিল বলে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান।
Leave a Reply