রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন বশেমুরবিপ্রবি’তে তিন দিনব্যাপী সাইকোমেট্রিক টুলস ও সাইকোলজিক্যাল এসেসমেন্ট ট্রেনিং সম্পন্ন চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ কেআইবি’তে এলডিডিপির মিডটার্ম রিভিউ কর্মশালা বশেমুরবিপ্রবি রোভার-ইন-কাউন্সিলের সভাপতি অনিক সম্পাদক ফারিহা চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে ব্যাপক পরিবহন চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ চালক-মালিকসহ সাধারণ যাত্রীরা রবিতে ইকোন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত  ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজে অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক উপায়ে শেরপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সংসদ বশেমুরবিপ্রবির নয়া নেতৃত্ব নির্বাচিত রবির অর্থনীতি বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত  চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ কয়রায় খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, ব্যবস্থা নেয়নি ইউএনও চকরিয়ায় বিএনপি নেতার উপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা; চমেকে প্রেরণ লামায় জায়গা-জমির বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৭ স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন শিক্ষার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে নোবিপ্রবি প্রশাসনের অনুদান সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ছাত্রদলের নতুন সাংগঠনিক টিম গঠন চকরিয়ায় বিএনপির ঘরে আওয়ামীগের গোপন সোর্স বশেমুরবিপ্রবি সেইভ ইয়ুথের নেতৃত্বে সজল-সামিরা পরীক্ষা শেষে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ২ বন্ধু নিহত গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি)’র চকরিয়া উপজেলা কমিটি গঠন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের ফ্রেশার্স ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

বক্রাকৃতি রাজনীতি – নাহিদ সুলতানা যুথি

ফিচার ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০
  • ৭২৫ ০০০ বার

বক্রাকৃতি রাজনীতি …

বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত। ছোট বেলায় শুনেছি সরকারের চাকরি করলে ,সে কোন রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারে না। কেন হতে পারে না উত্তরে শুনেছি ,”সরকারকে নিঃস্বার্থ ভাবে সারভ করার অঙ্গীকারে সম্মতি জ্ঞাপন করেই তবে সহকারের চাকরিতে যোগ দেওয়া হয় । সরকার মানে এই নয় যে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি …সরকার মানে দেশের সরকার।
একমাত্র মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে পাকিস্তান সরকারকে, (পরদেশীয় সরকারকে )”সরকার” মানা হয় নাই। দেশের সর্ব স্তরের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের ডাকে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পরেছিল।
১৯৭১ সালের পর দেশে অন্য কোন দল থাকার কথা ছিল না ,এক দেশ বাংলাদেশ ।কেবল স্বাধীন একটি দেশ ,লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ের স্বাধীনতা ,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের স্বাধীনতা ,৩০ লক্ষ শহিদ ,২ লক্ষ .মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ের স্বাধীনতা কিন্তু দুখের বিষয় ৭৫ পরবর্তী দেশে স্বৈরশাসক এর আগমনের সাথে সাথে নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় শুরু হল ,খুনিদের পুরস্কারসরূপ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ সহ পুনর্বাসিত করা হল এবং এর সাথে সাথে হয়ত মানুষের নৈতিকতার অবক্ষয়ের সূচনা হতে থাকল
যে কোন কাজের অনুসারী দুই ধরনের হতে পারে ,ভাল কাজের অনুসারী আর খারাপ কাজের অনুসারী …তবে বাক্তিগত ভাবে মনে হয় খারাপের দিকে মানুষ খুব দ্রুত ধাবিত হতে চায় কারণ এর সাথে কিছু তাৎক্ষনিক সুবিধা পাওয়া যায় ,দ্রুত জীবনকে বদলিয়ে নেয়ার তত্ত্বে নীতিআদর্শ সবচেয়ে বেশি সাংঘরশিক
দিন বদলের সাথে সাথে আজ স্বাধীনতার প্রায় .৫০ .বছর পরে এসে দেখা যায় রাজনীতি নামে শুরু হয়েছে ক্ষমতার কাছাকাছি কিভাবে থাকা যায় ,প্রয়োজনে দলত্যাগ করে ক্ষমতাশিন দলে অনুপ্রবেশ ,দলের পরিবর্তে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের রাজনীতি আর তার জন্য প্রয়োজনে দলকে যেভাবে খুশি ব্যবহার করা , এর কারণে অযোগ্যদের প্রতিযোগিতায় আসল ত্যাগী রাজনীতিবিদের বাকি ১০ ভাগ কোণঠাসা হয়ে আছে . রাজনীতির মূলমন্ত্র যেখানে হবে সামগ্রিক জনগণের জন্য ,দেশের জন্য ,সমাজের জন্য ,আদর্শের সাথে সমাজনীতি , কোট …রাজনৈতিক চিন্তার ইতিহাস খুঁজে ,পাওয়া যায় প্রাথমিক প্রাচীন যুগে, যেখানে প্লেটোর রিপাবলিক, এরিস্টটলের রাজনীতি, চাণক্যর অর্থশাস্ত্র ও চাণক্য নীতি (খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দী), এবং কনফুসিয়াসের লেখার ন্যায় দিগন্ত উন্মোচনকারী কাজগুলো পাওয়া যায়।[১১]আনকোট
সেখানে কালের বিবর্তনে এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রাজনীতির ধারার উৎকর্ষতার পরিবর্তে মুল চিন্তার বিপরীতে ধাবিত হতে দেখা যাচ্ছে ……
সব নীতির ঊর্ধ্বে এখন চলছে পেটনীতি যা প্রাচীন রাজনীতিতে ছিল না । বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ,বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি থেকে আমরা কি শিখেছি ?কি শিখছি ?
রাজনীতি কি একটি গোত্রের নীতি আর আরেকটি গোত্রের দুর্নীতি ? …। আমরা কোন নীতির অনুসারী / সহজে পদপদবি অনুপ্রবেশ রাজনীতি নাকি আমরা নীতি আদর্শের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপক্ষের ত্যাগী রাজনীতির অনুসারী …….প্রশ্ন থেকেই যাবে যতদিন পর্যন্ত আমরা আদর্শহীন ও দুর্নীতির বেড়াজালে বন্দি থাকছি …..

বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত। ছোট বেলায় শুনেছি সরকারের চাকরি করলে ,সে কোন রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারে না। কেন হতে পারে না উত্তরে শুনেছি ,”সরকারকে নিঃস্বার্থ ভাবে সারভ করার অঙ্গীকারে সম্মতি জ্ঞাপন করেই তবে সহকারের চাকরিতে যোগ দেওয়া হয় । সরকার মানে এই নয় যে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি …সরকার মানে দেশের সরকার।
একমাত্র মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে পাকিস্তান সরকারকে, (পরদেশীয় সরকারকে )”সরকার” মানা হয় নাই। দেশের সর্ব স্তরের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের ডাকে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পরেছিল।
১৯৭১ সালের পর দেশে অন্য কোন দল থাকার কথা ছিল না ,এক দেশ বাংলাদেশ ।কেবল স্বাধীন একটি দেশ ,লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ের স্বাধীনতা ,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের স্বাধীনতা ,৩০ লক্ষ শহিদ ,২ লক্ষ .মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ের স্বাধীনতা কিন্তু দুখের বিষয় ৭৫ পরবর্তী দেশে স্বৈরশাসক এর আগমনের সাথে সাথে নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় শুরু হল ,খুনিদের পুরস্কারসরূপ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ সহ পুনর্বাসিত করা হল এবং এর সাথে সাথে হয়ত মানুষের নৈতিকতার অবক্ষয়ের সূচনা হতে থাকল
যে কোন কাজের অনুসারী দুই ধরনের হতে পারে ,ভাল কাজের অনুসারী আর খারাপ কাজের অনুসারী …তবে বাক্তিগত ভাবে মনে হয় খারাপের দিকে মানুষ খুব দ্রুত ধাবিত হতে চায় কারণ এর সাথে কিছু তাৎক্ষনিক সুবিধা পাওয়া যায় ,দ্রুত জীবনকে বদলিয়ে নেয়ার তত্ত্বে নীতিআদর্শ সবচেয়ে বেশি সাংঘরশিক
দিন বদলের সাথে সাথে আজ স্বাধীনতার প্রায় .৫০ .বছর পরে এসে দেখা যায় রাজনীতি নামে শুরু হয়েছে ক্ষমতার কাছাকাছি কিভাবে থাকা যায় ,প্রয়োজনে দলত্যাগ করে ক্ষমতাশিন দলে অনুপ্রবেশ ,দলের পরিবর্তে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের রাজনীতি আর তার জন্য প্রয়োজনে দলকে যেভাবে খুশি ব্যবহার করা , এর কারণে অযোগ্যদের প্রতিযোগিতায় আসল ত্যাগী রাজনীতিবিদের বাকি ১০ ভাগ কোণঠাসা হয়ে আছে . রাজনীতির মূলমন্ত্র যেখানে হবে সামগ্রিক জনগণের জন্য ,দেশের জন্য ,সমাজের জন্য ,আদর্শের সাথে সমাজনীতি , কোট …রাজনৈতিক চিন্তার ইতিহাস খুঁজে ,পাওয়া যায় প্রাথমিক প্রাচীন যুগে, যেখানে প্লেটোর রিপাবলিক, এরিস্টটলের রাজনীতি, চাণক্যর অর্থশাস্ত্র ও চাণক্য নীতি (খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দী), এবং কনফুসিয়াসের লেখার ন্যায় দিগন্ত উন্মোচনকারী কাজগুলো পাওয়া যায়।[১১]আনকোট
সেখানে কালের বিবর্তনে এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রাজনীতির ধারার উৎকর্ষতার পরিবর্তে মুল চিন্তার বিপরীতে ধাবিত হতে দেখা যাচ্ছে ……
সব নীতির ঊর্ধ্বে এখন চলছে পেটনীতি যা প্রাচীন রাজনীতিতে ছিল না । বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ,বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি থেকে আমরা কি শিখেছি ?কি শিখছি ?
রাজনীতি কি একটি গোত্রের নীতি আর আরেকটি গোত্রের দুর্নীতি ? …। আমরা কোন নীতির অনুসারী / সহজে পদপদবি অনুপ্রবেশ রাজনীতি নাকি আমরা নীতি আদর্শের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপক্ষের ত্যাগী রাজনীতির অনুসারী …….প্রশ্ন থেকেই যাবে যতদিন পর্যন্ত আমরা আদর্শহীন ও দুর্নীতির বেড়াজালে বন্দি থাকছি …..

 

লেখকঃ নাহিদ সুলতানা যুথি, সাবেক ট্রেজারার, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ও সভাপতি, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল এলামনাই এসোসিয়েশন।       

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..