করোনা বা কোভিড-১৯ পরীক্ষা করালেই পাওয়া যাবে ৩০০ ডলার যা বাংলাদেশী টাকার হিসাবে প্রায় ২৪ হাজার টাকা। আর যদি করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাহলে আরও ১,৫০০ ডলার পাওয়া যাবে যা বাংলাদেশী টাকায় লক্ষাধিক,প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা!আর এতো বড় অংকের টাকাও দেবে সরকার!
অবাক করা বিষয় হলেও এই নিয়ম চালু করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশে করোনা পরীক্ষা করলেই পাওয়া যাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ। আর করোনা পজিটিভ হলে তো কথাই নেই!
তবে এই টাকা পাওয়ার জন্য রয়েছে শর্ত । এই টাকা পেতে পরীক্ষাকারীকে অবশ্যই চাকরিজীবী হতে হবে।
সাথে তার হাতে কোন ছুটি থাকা চলবে না।
টাকা পেতে সরকারের কাছে বেতনের স্লিপ অথবা চিঠি লিখে মুচলেকা দিতে হবে। ভিক্টোরিয়া প্রদেশের প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রু জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রদেশটিতে বেড়েই চলেছে। এই সংক্রমণ রুখতেই পদক্ষেপ।
কিন্তু সংক্রমণ রোখার সঙ্গে এতো টাকা দেওয়ার সম্পর্ক কী সম্পর্ক ? তাও শর্ত সাপেক্ষে শুধু মাত্র চাকরিজীবীদের জন্য? অন্যরাই বা কেন বঞ্চিত হবে?
প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল জানিয়েছেন, অনেক চাকরিজীবীই হাতে ছুটি নেই অযুহাতে কোভিড-১৯ পরীক্ষাই করাচ্ছেন না।
এমনকি সংক্রমণের লক্ষণ থাকলেও না। রিপোর্ট পজিটিভ এলে ছুটি নিতে হতে পারে।যার ফলে তাদের বেতন কাটা যেতে পারে।এমনকি একই কারনে নিজেদের সেলফ আইসোলেশনেও রাখছেন না। ফলে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
ড্যানিয়েলের ধারণা, হাতে নগদ টাকা পেলে এই চাকরিজীবীরা পরীক্ষা করাতে বা আইসোলেশনে থাকতে আগ্রহী হবেন।বেতন কাটার ভয়ে রোগ লুকিয়ে রাখবেন না।
ভিক্টোরিয়া প্রদেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান কোভিড-১৯ আক্রান্তের প্রায় ৯০% লক্ষণ থাকা সত্বেও পরীক্ষা করানি নি করোনা,যতক্ষণ না সরকার বাধ্য করেছে পরীক্ষা করতে। এর আগে সেলফ আইসোলেশনে না থাকায় অন্যদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটিয়েছেন আক্রান্তরা।এই সংক্রমণ রুখতেই চাকরিজীবীদের করোনা পরীক্ষা করাতে টাকা দেবে সরকার।
Leave a Reply