রাঙ্গাবালীতে মোটরসাইকেল সমিতি ও যুব সমাজের উদ্যোগে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন এর সংযোগ সড়ক এর প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ অর্ধ পাকা রাস্তার বিভিন্ন স্থান ভাঙ্গা। বৃষ্টি হলেই ভাঙ্গা অংশ কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় প্রায় দুই হাজারেরও বেশি পরিবারের মানুষকে।
দুর্ভোগ দূর করার জন্য গ্রামবাসী জনপ্রতিনিধিদের কাছে কয়েকবার গিয়েছিলেন। বিভিন্ন পেপার-পত্রিকায় এ নিয়ে একাধিকবার লেখালেখি করা হয়েছে।কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তাই নিজেদের সমস্যা সমাধানে নিজেরাই এগিয়ে এলেন। নেমে পড়লেন রাস্তা সংস্কারের কাজে।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের (৪,৫,৭ ও ৮নংওয়ার্ড) গ্রামের যুবকেরা স্বেচ্ছাশ্রমে চরমোন্তাজ (পুরান বাজার) সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ করতেছেন। ইতোমধ্যে এ রাস্তার ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বাকি কাজ আগামী দু এক দিনের মধ্যেই শেষ হবে।
এসকল বিষয়ে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন , “রাস্তাটির সংস্কারে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার দরকার ছিল । কিন্ত সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় এলাকার যুব সমাজ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজটি শুরু করেন।”
ছোট বড় দুর্ঘটনা এখানকার মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। কয়েক দিন আগে বাদশা মিয়া নামে এক অসহায় মোটরসাইকেল ড্রাইভার এই সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বর্তমানে বরিশাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।তার অবস্থা আশংকা জনক।
তাই মোটরসাইকেল ড্রাইভাররা সর্বপ্রথম এ কাজটির উদ্যোগ নিয়েছে । কাজটি বর্তমানে চলমান।
চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে কর্মী ও সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি মোঃ মনির প্যাদা বলেন, “এখানে প্রায় দুহাজারের অধিক পরিবার দীর্ঘদিন থেকে ওই ভাঙা রাস্তা দিয়ে বর্ষায় কাদাপানি পেরিয়ে চরমোন্তাজ সুলিজ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিতে যাতায়ত করেন।”
সরকারি বাজেটের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক চেষ্টা করেলেও আজ পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। তাই এলাকার যুবসমাজ ও মোটরসাইকেল ড্রাইভার দের ব্যক্তিগত সহযোগিতা ও “হাত বাড়াও রুখে দাঁড়াও” সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে সংস্কার হচ্ছে ওই তিন কিলোমিটার রাস্তা।
“হাত বাড়াও রুখে দাড়াও” এই সেচ্ছাসেবী সংগঠন টি ইতোমধ্যে অনেক অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন করছেন এবং তাদের সেচ্ছাসেবা ইউনিয়ন এ চলমান রয়েছে
স্থানীয় মোটরসাইকেল ড্রাইভার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন “প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়েত করতে হয়, আর কিছুদিন পর পরই বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। বিভিন্ন মহলে রাস্তাটি নিয়ে ঘোরাঘুরি করলেও তাতে আমাদের কোন লাভ হয়নি তাই আমরা মটরসাইকেল সমিতির উদ্যোগে ও “হাত বাড়াও রুখে দাঁড়াও” সংগঠনের সহায়তায় রাস্তাটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এই রাস্তাটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করব ।”
Leave a Reply