বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে চলতি বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপাচার্যদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ’। আর এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে তা বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করছেন উপাচার্যরা।
আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপাচার্যরা ভার্চুয়াল এক সভায় উপস্থিত হন।সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ওই সভায় দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যরা অংশগ্রহণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন ” বৈঠকে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ নূরের উদ্ভাবিত বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রস্তাব এসেছে। এ প্রস্তাবে সবাই প্রশংসা করেছেন। এখন এই প্রস্তাবটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাবো আমরা। সেখানে উনারা যাচাই-বাচাই করবেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি, সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে এ বছরের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া সম্ভব হবে। আর সেটি হবে সমন্বিতভাবে, অর্থাৎ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এই একই সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
সমন্বিতভাবে এই ভর্তি প্রক্রিয়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় আসবে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “তারাও এটাতে আসতে রাজি হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান, কৃষি, সাধারণ-এভাবে কয়েকটি ভাগে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।”
Leave a Reply