সাম্প্রতিক সামাজিক বাস্তবতা ও কিছু প্রস্তাবনা
অসীম সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে অভূতপূর্ব কাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন ১৮৮৮ ডলার হয়েছে। প্রতিটা পরিবারই এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের আধুনিক কিছু সুযোগ-সুবিধা পৌঁছেছে। আয় বাড়ার সাথে সাথে জীবনযাত্রার ব্যয় ও তুলনামূলক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। খেয়ে পরে ভালো থাকার পরেও কি মানুষ ভালো আছে?সামাজিকভাবে কি আমরা ভালো আছি? আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এখন যেমন চলমান এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে পাবো। এমন অনেক প্রশ্ন আমাদের অনেকের মনে ঘুরপাক খায়। এই প্রশ্ন গুলো সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেশি ভাবাচ্ছে কারণ ধর্ষণ ,সংঘর্ষ , দুর্নীতি ,অনিয়ম ও খুন মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের সামগ্রিক নীতি ,নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবনতি মুখ্য কারণ।
আমাদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ এক সময় পর্যন্ত যথেষ্ট প্রশংসনীয় ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক করোনাকালীন সময়ে দেখা গেলো রোগ সংক্রমনের ভয়ে সন্তান তার মাকে জঙ্গলে ফেলে গেছে। এমন মূল্যবোধহীন আচরণ সমগ্র দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছে।কিন্তু কি কারণে এই অবনতি তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় আমাদের পারিপার্শ্বিক সামাজিক সম্পর্কের অবনতি অন্যতম কারণ। পারিবারিকভাবে আমরা এখন যৌথ ভাবে বসবাস করছি কম। চাকুরী, ব্যাবসা ও আয়ের পিছনে বেশি সময় দিতে গিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সময় কম দেয়া হচ্ছে এবং একজন আরেকজনের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। ফলে পরিবার থেকে কার্যকর শিক্ষা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছি। পরিবারের ভেতরেই এক সদস্যের সঙ্গে অন্য সদস্যের শ্রদ্ধাশীল সম্পর্ক থাকছে না। ফলে পরিবারের জুনিয়র সদস্যরা কোথায় যাচ্ছে কাদের সঙ্গে মিশছে সে ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রে উদাসীন থাকছেন। উপরন্ত কিছু বাবা -মা তাদের কিশোর সন্তানকে কিনে দিচ্ছেন দামী মোটর সাইকেল যা দিয়ে তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এলাকা ।আর এরাই যোগ দিচ্ছেন কোন বড় ভাইয়ের মটর শোভাযাত্রায়। আবার অনেক যায়গায় হয় নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন অথবা অন্যকে দুর্ঘটনার শিকার বানাচ্ছে।তাই এই বাহনের নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত প্রয়োজন।আমাদের কিছু বাবা মায়েদের ও দায় কম না কারন আমরা সন্তানদের ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৫ পেতে ,ভালো রেজাল্ট করতে ,ভালো কোথাও ভর্তি হতে সাহায্য করছি । কিন্ত আদতে আমরা কি তাদের নৈতিকতা বা মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে পারলাম? আমরা তাদের কাছ থেকে কি প্রত্যাশা করতে পারি? তাই আমাদের বাবা -মা এবং সিনিয়রদের বেশি সচেতন হতে হবে কারন পরিবার থেকেই মানুষ সব থেকে বেশি শিক্ষা গ্রহন করে।
বর্তমানে আমাদের দেশে সুস্থ বিনোদনের বড্ড অভাব বিশেষ করে খেলাধুলার ক্ষেত্রে। মাঠে খেলাধুলার অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে মাঠ ভরাট করে ঘরবাড়ী , শিল্প কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন। শহর গুলোতে দখলদার কর্তৃক অবৈধভাবে মাঠ দখল। এছাড়া স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া সংগঠকদের বড় ব্যর্থতা আছে বলে মনে হচ্ছে। এর ফলে আমাদের ছেলেদের যে সময় মাঠে থেকে উন্নত শরীর গঠন ও মনের বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন তখন কোনো এক কোনায় বসে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকছে , নেশা জাতীয় দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি গবেষণায় সময় দিচ্ছেন ।ফলে কিশোর গ্যাং কালচারের বিকাশ ঘটছে।
সুস্থ বিনোদনের অন্য একটি উপায় হচ্ছে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যেমন নাটক , সিনেমা , গান , আবৃত্তি ইত্যাদি। দেশের সিনেমা হলগুলো বন্ধ হওয়ার পথে । সবাই বিকল্প হিসেবে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় দেওয়ার চেষ্টা করছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালো কিছুর পাশাপাশি অনেক কুরুচিপূর্ণ উপাদান ছড়িয়ে পড়ছে । যেখানে অনেক নেতিবাচক কিছু দেখে যুবসমাজ বিপথগামী হচ্ছে। কারণ এই মাধ্যম থেকে ইতিবাচক থেকে নেতিবাচক বিষয় সমূহ আমরা বেশি গ্রহণ করছি।
আমাদের সমাজে আরেকটি বিষয় প্রকট আকার ধারণ করছে তা হলো অর্থ ও ক্ষমতার প্রতি মারাত্মক রকম লোভ। যেনতেনভাবে দুর্নীতি ,অনিয়ম ও অবৈধ উপায়ে সম্পদের পাহাড় গড়া একটি শখে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা ও অর্থের প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে সচেষ্ট বেশিরভাগ মানুষ। অন্যদিকে মানবিক মূল্যবোধের চর্চা ও প্রদর্শন একেবারেই কম। যার ফলে দেশে পলান সরকারের মত ব্যক্তি সৃষ্টির পরিবর্তে সৃষ্টি হচ্ছে একশ্রেণীর মুরগি মিলন, আফজাল , মালেক।যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অশনি সংকেত।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক চর্চা ও অনেকটা সাম্প্রতিক মূল্যবোধ হীন ঘটনাসমূহের জন্য দায়ী। কারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করে থাকেন ছাত্র, বেকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অধীনে কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগণকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই অপরিপক্ক ও তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা গোষ্ঠী হঠাৎ করে কারো আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করে ফেলছে। যার ফলে তারা স্থানীয়পর্যায়ে দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাচ্ছে না যেমন খুন-ধর্ষণ , হানাহানি, টেন্ডারবাজি ইত্যাদি। সাম্প্রতিক উদাহরন হিসেবে বলা যায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নারী নির্যাতনের ঘটনা, সিলেটের এম সি কলেজে ধর্ষণের ঘটনা। এই ধরাকে সরা জ্ঞান করা ব্যক্তিবর্গ একাধিক মামলায় পরছেন।এই সকল মামলার ব্যয় নিজেদেরই বহন করতে হয় এবং নিয়মিত হাজিরা দেওয়াসহ জেল ও খাটতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় একবার জড়ালে সেখান থেকে বের হওয়া ও কঠিন হয়ে যায়। কিন্ত এর ফলাফল ভোগ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবার। তাই পরিবারের সকলের উচিৎ বিপথে যাওয়া ব্যক্তিদের সঠিক পথ দেখানো। সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের উপর ও দায়িত্ত বর্তায় বিপথগামীদের দ্বারা যেন সমাজ কোনোভাবে কলুষিত না হয়।
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ। কিন্তু সেই তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ কম ফলে বেকারত্বের হার কোনভাবেই কমানো যাচ্ছে না। পেটে খাবার না থাকলে পকেটে টাকা না থাকলে নীতি-নৈতিকতা ধরে রাখা কঠিন। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটছে এবং পরবর্তীতে আহত বা খুন করা হচ্ছে।
শিক্ষা অর্জনের দুটি জায়গা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ও ধর্মীয় উপাসনালয় সমূহ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ তার ভূমিকা কার্যকর ভাবে পালন করতে পারছে না। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে এরমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন নিশ্চিত না করা, শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করা ও শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা না বাড়ানো অনেকটা দায়ী । যেমন প্রাথমিকের শিক্ষকদের সদ্য ১৩ তম গ্রেডে উন্নীত করা হলো কিন্তু সেটা নবম-দশম গ্রেডে কেন নিতে পারছিনা। যার ফলে অনেক মেধাবীরা এদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আমাদের পরিবর্তন করতে হলে একেবারে গোড়া থেকেই শুরু করতে হবে কারণ ভিত্তি দুর্বল হলে সেখান থেকে ভালো ফলাফল আশা করা বোকামি।
ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ ও উপাসনালয় সমূহ থেকে মানুষ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ যে ধর্মেরই হোক না কেন প্রত্যেকেই ধর্মভীরু । বেশীরভাগই স্রষ্টা ও ধর্মীয় বিধি-নিষেধ পালন করতে চেষ্টা করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহে উপাসনা ও পাঠদানে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের নিজেদেরই নৈতিক স্খলন হয়েছে। সে কারনে তাদের প্রতি অনেক ক্ষেত্রেই পূর্বের ন্যায় বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারছে না। যার ফলে সাধারণের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাস স্থাপন ও তার চর্চার ঘাটতি লক্ষণীয় ।
সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে কতিপয় করণীয় সম্বন্ধে ভাবা যায় যেমন-
১। স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচির মধ্যে শুধুমাত্র নৈতিকতা ও মূল্যবোধের কোন নির্দিষ্ট অধ্যায় নয় এবং ধর্মীয় কোর্স সমুহের নামের সাথে নৈতিকতা যুক্ত করেই কাজ হবে না । আলাদা একটি বিষয় বা কোর্স হিসেবে সবার পড়া বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। প্রয়োজনে শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের নতুন বই লেখার ব্যবস্থা করে তা পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২। প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে শুদ্ধাচার কমিটি করতে হবে । যেখানে সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অন্তর্ভুক্ত করে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে কাজ করবে। প্রয়োজনে সরকারিভাবে একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে প্রতি ইউনিয়নে একজন করে ব্যক্তিকে সম্মানীর আওতায় এনে মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ বাড়াতে প্রচেষ্টা চালাতে পারেন। এ ব্যাপারে সরকার বা প্রশাসন কে উদ্যোগী হতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাগজে কলমে শুদ্ধাচার বিষয়টি আছে কিন্ত চর্চা কম।তাই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা তার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের যথাযথ তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। বেকার সমস্যা দূর করার জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে সার্বিক সহায়তা প্রদান। মনে রাখা প্রয়োজন “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা”।
৪।ধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয় সমূহকে একটি কার্যকর সমন্বয় ও তদারকির ব্যবস্থা গ্রহন করে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।
৫। একসময় বায়স্কোপ প্রদর্শনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং অনেক টাই সফল ও হয়েছে। সেভাবে মানুষের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ যাতে জাগ্রত হয় সে ধরনের সিনেমা / প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে ডিজিটাল প্লাটফরম ব্যবহার করে ইতিবাচক বার্তা সমূহ প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৬। যেখানে রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তি বর্গের ছত্রছায়ায় অপ্রত্যাশিত ঘটনাসমুহ ঘটছে সেখানে এই ঘটনা সমুহের জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার / রাজনৈতিক দলসমুহ থেকে নিয়মিত শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমুহের কমিটিতে ক্ষমতা ,অর্থ ও রাজনৈতিক পরিচয়কে গুরুত্ত না দিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা ,জ্যেষ্ঠতা, ও মানবিক মূল্যবোধের বিষয়কে মুল্যায়ন করতে হবে।
৮। জেলা ,উপজেলা ,স্কুল ,কলেজে নিয়মিত খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আয়োজন করতে হবে।
৯। সারাদেশের বিভিন্ন যায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে বিশেষ করে বাজার , শপিংমল , বাস টার্মিনাল , ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ সরকারী অফিস সমূহে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। বড় শহরসমূহের বড় বড় ভবনসমুহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য ভবন মালিকদের নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।
পরিশেষে বলা যায় বঙ্গবন্ধুর দেখা স্বপ্ন সোনার বাংলা এখন দেশের প্রতিটা মানুষের স্বপ্নে পরিণত হয়েছে । কিছু বিপথগামীর কারণে বাঙ্গালির স্বপ্ন নস্যাৎ হতে পারে না। তাই প্রতিটা ব্যক্তিকে নিজ অবস্থান থেকে সমাজের নীতি ,নৈতিকতা , মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেকের করণীয় নিজ দায়িত্বে সঠিকভাবে সম্পাদন করতে হবে।তবেই ভালো থাকবে বাংলাদেশে ভালো থাকবে আমাদের ভবিষ্যৎ।
লেখকঃ মোঃ হাফিজুর রহমান,শিক্ষক, মার্কেটিং বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ,গোপালগঞ্জ।
absolutely true more important thing is that.
love you’re self, love you’r family, gose Around, comes around,
Well written