আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের সন্তান ও আত্বীয়দের কারনে বারবার সমালোচনার মুখে পরতে হয়েছে সরকারকে।সর্বশেষ ঢাকার সাংসদ ও প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা হাজী সেলিম পুত্রের কর্মকান্ডেও সমালোচনার আঘাত সহ্য করতে হয়েছে দল ও সরকারকে।তবে এতোকিছুর মধ্যেও ব্যাতিক্রমী এক সাংসদ কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।ঝিনাইদহ-৪ আসনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর দু’বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
বাবার নির্বাচনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন।দলীয় সকল কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে ইতিমধ্যে কালীগঞ্জের আওয়ামীলীগ পরিবারের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন ডরিন।
শুধু দলীয় নই,সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডেও রেখেছেন ভূমিকা। বিশেষত মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাড়িয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন সাংসদ কন্যা ডরিন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাবার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে বহুমুখী মানবিক পদক্ষেপ নেন তিনি। করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা, অসহায় ও লকডাউনে থাকা পরিবারসমূহের খাবার সরবরাহ,রমজান মাসে ইফতারি বিতরণ, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদব্যদী পৌঁছে দেওয়া ও তাদের খোঁজ রাখছেন মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
জানা যায়, করোনার শুরুতে নিজ উদ্দোগে এ ভাইরাস প্রতিরোধে জীবাণুনাশক সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন ডরিন। পরবর্তীতে এলাকার গরীব অসহায় দুঃস্থ খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, আলু, পিয়াজ সহ অন্যান্য। স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে টিমওয়ার্ক তৈরি করে সুষমভাবে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় এসব খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন এই সাংসদ কন্যা।
গেল রমজানের ঈদে স্থানীয় অসচ্ছল ব্যাক্তি ও তাদের পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছে এমপি কন্যা।
এই বিষয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন,” বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাবা প্রথম দিন থেকেই একের পর এক যুগান্তকারী সব কর্মসূচী নিয়ে মানুষের পাশে থেকেছেন। বাবার এমন কর্মকাণ্ডে আমি সবসময় গর্ববোধ করি। আমি বাবার পাশাপাশি এলাকার মানুষদের পাশে দাড়াতে পেরে ভালো লাগছে। মূলকথা অসহায়দের পাশে থাকার অনুপ্রেরণা পাই বাবার কাছ থেকেই। ওনার কাছ থেকেই মানুষের বিপদে পাশে দাড়াতে শিখেছি। আমি চাই আমার এই কার্যক্রম অব্যহত থাকুক। সবাই আমার পরিবার ও কালীগঞ্জবাসীর জন্য দোয়া করবেন।”
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারনে অসহায় কৃষকদের দূর্দশা চরমে পৌছানোর আশঙ্কা ছিলো সকলেরই।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধান কাটা কার্যক্রমে অনেকটাই হতাশার মেঘ কেটে যায় সেই সময়ে। বিভিন্ন সংসদ সদস্যকেও এই ধান কাটা কার্যক্রমে দেখা গেলেও সাংসদ সন্তানদের দেখা পাওয়া যায়নি তেমন। তবে সেই সময় ঐ অবস্থার ইতি টেনে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় সাংসদ কন্যায় তত্বাবধানে অসহায় কৃষকের ধান কেটে দেয় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।সাংসদ কন্যা ডরিনের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে সেসময় অসহায় কৃষকদের ধান কাটে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বৃক্ষরোপণ, শীতকালে অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেও প্রশংসায় ভাসেন এই সাংসদ কন্যা।
সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাবা সাংসদ আনোয়ারুল আজীমের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ায় দল ও দলের বাইরে প্রশংসিত হচ্ছেন সাংসদ কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
💖💖💖