শনিবার (১৪ নভেম্বর) ঘোষিত কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করতে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে অবরোধ তুলে নিয়েছে দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। আজ রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই দাবি জানান।
তারা আরো দাবি জানান, বিগত সময়ে টিকো ও জহির এর ঘোষিত ছাত্রলীগের প্রেস কমিটি ও খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি যদি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিলুপ্ত করা সহ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা না হয় তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য খাগড়াছড়ি জেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বৃহত্তর অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালের জুন মাসে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজ এর বিরুদ্ধে জেলা ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হল জেলা কমিটি অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে টিকো-জহির কোন সম্মেলন, পরিচিতি সভা কিংবা সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম তারা করতে পারেননি। তৃণমূল পর্যায়ের কোনো নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় না করেই তারা ইচ্ছে মতো বিভিন্ন উপজেলায় ছাত্রলীগের প্রেস কমিটি করছে। এতে করে অনেকেই পদবঞ্চিত হচ্ছেন। যারা ত্যাগী ছাত্রলীগ এবং নিঃস্বার্থভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তারা পদবঞ্চিত হচ্ছেন।
টিকো-জহিরের ঘোষিত কমিটিতে তাদের পছন্দ অনুযায়ী অ-ছাত্র, জামাত, বিবাহিত ও ইয়াবা-রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আসামিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে সকালে দিঘিনালা-সাজেক সড়কে অবরোধ কর্মসূচির সময় সাজেকগামী পর্যটকদের গাড়ীসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ। ভাঙচুরের অভিযোগে ছাত্রলীগের ০৩ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত ০৩ ছাত্রলীগ কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান দিঘীনালা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর-ই প্রতিবাদে রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে অবরোধের ডাক দেয় দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ।
এই পরিস্থিতিতে দীঘিনালা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ।
Leave a Reply