সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের টাঙ্গন নদীর বিভিন্ন ঘাটে কোন ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন এক শ্রেণির বালুখোর ব্যবসায়ী।কিন্তু অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার আরেকদিকে হুমকির মুখে পড়েছে এসব বালু ঘাটের পার্শ্ববর্তী এলাকার ফসলি জমিগুলো। এসব ঘাট গুলোর মধ্যে উপজেলার হাটপাড়া,ঘুমুনিয়া শালবন ঘাট, বনুয়াপাড়া,কদমতলীর ঘাট,বাজারদিহা,নাক্কাটি,মাসালডাঙ্গীসহ একাধিক ঘাটে নদীর জমির মাটি ও বালু বিক্রির অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালী একটি মাটি ও বালু ব্যবসায়ী চক্রের বিরুদ্ধে । অনেকেই সন্ধ্যার পর বালু উত্তোলন শুরু করে ভোর পর্যন্ত কয়েকশত গাড়ি বালু তুলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সাপ্লাই করছেন। তবে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪ এর (খ) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এ আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন এই অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন দেখা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে টাঙ্গন নদীর বালুমহাল গুলোতে বালু উত্তোলন করছেন এই চক্রটি এতে প্রায় অর্ধশত একর ফসলি জমি টাঙ্গন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এসব বালু ঘাটের বালুখোর চক্রের সদস্যরা প্রভাবশালী হওয়ায় বেকায়দায় প্রশাসন। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, অনেকেই তুলছেন তাই আমিও তুলছি আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু তুলছি। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম বলেন,আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি কয়দিন আগেই ৭টি গাড়িকে ১’লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাসহ তিনি নিজেই গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply