পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) চলমান শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সকল নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে চলমান সকল নিয়োগ পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রদান করেছেন।
পবিপ্রবি’র জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পর্যায়োন্নয়ন/পদোন্নতি ব্যতীত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পৃথক দু’টি বিজ্ঞপ্তিতে ১২জন প্রভাষক, ১জন রেজিস্ট্রার, ১জন পিএ টু প্রো-ভিসি, ২জন সেকশন অফিসার, ১জন উপ-খামার তত্ত্বাবধায়ক, ১জন অফিস সহায়কসহ বিভিন্ন পদে সরাসরি নিয়োগ এবং কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আপ-গ্রেডেশন/পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ইতিমধ্যে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পর্যায়োন্নন/পদোন্নতির পরীক্ষা চলছিল।
এ অবস্থায় অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে সকল নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া আকস্মিক স্থগিত করনের কারন সম্পর্কে কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আপাতত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
কত দিন স্থগিত থাকবে বা কবে নাগাদ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে এমন প্রশ্নে বলেন, এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।
উল্লেখ্য,পবিপ্রবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিক অর্থ-বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে সচেতন শিক্ষার্থী ও নাগরিকের ব্যানারে গত মঙ্গলবার দুমকি উপজেলা শহর ও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ।
ওই সমাবেশ থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. সবুজ সিকদার পবিপ্রবি’র স্বজনপ্রীতির নিয়োগ বাণিজ্য ঠেকাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার দাবি করে। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।
এর দু’দিন পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার এক অফিস আদেশে সকল নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেন।
Leave a Reply