অতিথি পাখি শিকার বন্ধ করুন
অতিথিদের মতোই অতিথি পাখি প্রতি বছর শীতকালে শীত প্রধান দেশগুলো থেকে হিমেল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আমাদের দেশে আসে,একটু উষ্ণ আবহাওয়া ও একটু সুখ অনুভব করতে। হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঝঁাকে ঝঁাকে পাখিরা আসে রৌদজ্জ্বল পরিবেশ আর ঠান্ডা রোদের মিশেল আবহাওয়ার দেশ বাংলাদেশে।
শীত প্রধান দেশ গুলোতে যখন প্রবল শীত পড়ে এবং নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্যের অভাব দেখা দেয় তখনই সেই পাখির ঝঁাক গুলো বেশ খানিক পথ পাড়ি দিয়েই আমাদের দেশে আসে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরের শীতেও দেশের নানান স্থানে দেখা মিলছে এই অতিথিদের।
নভেম্বর থেকে শুরু হয় এই পাখিদের আনাগোনা। যেন বিল ঝিল মুখোরিত হয়ে ওঠে তাদের পদাচারনে।
অবশ্য শীতের ভাব কমা মাত্রই পাখি গুলো ফিরে যায় তাদের আপন পানে।
এদের মধ্যে অনেই পাখিই ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে।
তবুও রাতের আঁধারে কিছু অসাধু চোরাকারবারি ফঁাদ পেতে পাখি শিকার করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ প্রশাসন সহ সকলকে অধিক সচেতন হতে হবে যেন কোন ভাবেও যেন অতিথি পাখিগুলো অসাধুদের হাতে না পড়ে।
অতিথি পাখি বরাবরই অতিথিদের মতোই। এরা আমাদের মেহমানের মতো।শীত শেষ হলেই আবারো ফিরে যাবে। অথচ আমরা সেই অতিথিদের শিকার করি আহারের বস্তু বানাই যা খুবই নিন্দনীয়।
পাখি শিকার রোধে প্রয়োজনে ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রানী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালের বন্যপ্রানী সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। এবং দেশের সকল জনসাধারনকে পাখি শিকার রোধে অধিক সচেতন হতে হবে।
লেখক পরিচিতিঃ মোঃ-তামিম সিফাতুল্লাহ,
সাংবাদিক,কলামিস্ট
রাজশাহী।
E-mail:-tamim.sifatullah82@gmail.com
Leave a Reply