মোংলা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুন্দরবনের হরিণের মাংসসহ চার ব্যক্তিকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ।
মোংলা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুন্দরবনের হরিণের মাংসসহ চার ব্যক্তিকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ এবং তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বার) রাত সাড়ে ১১টায় মোংলার হলদিবুনিয়ার বাইল্লার মোড়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৫ কেজি হরিণের মাংস সহ তাদের আটক করে মোংলা থানা পুলিশ। এ সময় তাদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী।আটককৃতরা হচ্ছে, মোংলা শেহলাবুনিয়া এলাকার শুকুর আলী মল্লিকের ছেলে নাজমুল মল্লিক (৪৯), রামপাল থানার আড়–য়াডাঙ্গা অনিল মন্ডলের ছেলে অনিমেষ মন্ডল (৪০), পাইকগাছা কুমুখালী এলাকার মৃত নগেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে জপতোষ মন্ডল (৩৮) ও গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদপুর উপজেলার জলিরপাড় এলাকার চিন্ময় মন্ডলের ছেলে টিটো মন্ডল (২৭)। তাদের সকলের বাড়ী মোংলা, রামপাল ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশ ও মায়াবী হরিণ শিকার করে পাচারের চেষ্টায় ১৯২৭ সালের বন আইন (সংশোধনী-২০০০) এর ধারায় মামলা করেন। হয়েছে বলেও জানায় মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী। পরে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী। মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ জাহাঙ্গির আলম জানায়, একদল হরিন শিকারী বনের হরিন শিকার করে উপকুলে এনে তা বিক্রি করছে এমন গোপন সংবাদ আসে মোংলা থানা পুলিশের কাছে। সংবাদের সুত্রধরে চাদঁপাই রেঞ্জের চিলা ইউনিয়নের বালুর মোড় এলাকায় অভিযান চালায় থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, এ এস আই সাধন বিশ্বাস ও এস আই অমিতের নেতৃত্বে একটি পুলিশের টিম। মোংলা-জয়মনি মেইন সড়ক দিয়ে দুইটি মটরসাইকেলে করে ব্যাগ ভর্তি হরিনের মাংস নিয়ে যাচ্ছিল ৪ পাচারকারী। পুলিশের টহলদল দেখে গাড়ী নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে মোটরসাইকেলসহ তাদের হাতে-নাতে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ সদস্যরা। এরপর তল্লাশী করে ব্যাগের ভিতরে থেকে ২৫ কেজি হরিনের মাংস,৪ হরিন শিকারীকে আটক করে এবং তাদের ব্যবহৃত ২টি মটরসাইকে জব্দ করে।
Leave a Reply