পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে পথচারীসহ অন্তত ০৫ জন। সংঘর্ষ থামাতে ও পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেটা করে।
সকালে বিজয় দিবসের ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গনে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা পুরো উপজেলা মাঠ সহ প্রধান সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। সড়কটি সংঘর্ষের রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিতে গেলে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ এসে মানিক-রুবেল কমিটির ছাত্রলীগের কমিটির সদস্যদের উপর আক্রমণ করে। পরে, উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে করে সংঘর্ষের সূত্রপাত শুরু হয়। এক পক্ষের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও অপর পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াতে ওই এলাকার স্থানীয় দোকানপাট কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
পানছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আমিন রুবেল বলেন, জাহাঙ্গীর আলম (সুজন) ও নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি পক্ষ তাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে তাদের অন্তত ০৩ ছাত্রলীগকর্মী আহত হয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শ্রীকান্ত দেব মানিক বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে কিছুদিন পূর্বে উপজেলা আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে রেখেছে। কিন্তু ছাত্রলীগের নামধারী ৫ নং উল্টাছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (সুজন) এর নেতৃত্বে কিছু বহিরাগত লোকজন তাদের ওপর বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারের বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়ার সময় অতর্কিত আক্রমন করতে থাকে।
এদিকে নাজমুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এ সংঘর্ষের সাথে আমার কোনভাবেই সম্পৃক্ততা নেই। প্রথমে তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে চড়াও হয় তাই আমরা নিজেদের সুরক্ষা করতে এবং তাদের প্রতিহত করতে তাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করি।
পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মোমিন ও সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব এক জরুরী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘ছাত্রলীগের একাংশের এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের’ নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পানছড়ি উপজেলা এবং কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
Leave a Reply