কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের উঠান বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার সময় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে প্রায় ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে আওয়ামীলীগ সমর্থীত মেয়র প্রার্থীর সমথর্কেরা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত আনোয়ার হাওলাদার, আইয়ুব ও সোহাগকে তুলাতলি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করেন। বাকী আহত ৭জনের নাম এখনও জানা যায়নি। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের ছেলে মোঃ মামুন হাওলাদার সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পৌর এলাকর ৯ নং ওয়ার্ডের হোসেন পাড়া এলাকায় আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থী আব্দুল বারেক মোল্লার ভাই লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে। তিনি জানান,বিকালে ২নং ওয়ার্ডের গাজীবাড়ী এলাকায় তার বাবার পূর্ব নির্ধারিত জগ প্রতীকের উঠান বৈঠকে তাদের সমর্থকরা আসতে থাকে। পথিমধ্যে ৯নং ওয়ার্ডের হোসেনপাড়া এলাকায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র বারেক মোল্লার ভাই আনসার উদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের বহিরাগতরা তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের সাথে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপৃুরি কুপিয়ে জগ প্রতীকের ১০ সমর্থককে আহত করা হয়। মামুন আরো জানান, কুয়াকাটা পৌরসভার পাশের লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও আনসার উদ্দিন মোল্লা গত কয়েকদিন ধরে বহিরাগতদের দিয়ে পৌর এলাকায় প্রভাব বিস্তর করে আসছে। রাতে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। বিষয়টি লিথিত ভাবে বার বার জানানো হলেও বহিরাগতদের ব্যপারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন। এদিকে হামলার ঘটনায় বাকী ৭জন বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন কিন্তু উঠান বৈঠকে থাকায় তাৎক্ষনিক তাদের নাম বলতে পারছেনা বলে জানান মামুন হাওলাদার।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা (মেয়রের ভাই ) জানান, নাটক সাজিয়েছে জগ প্রতিকের প্রার্থী। ঘটনার সময় সেখানে আপনি উপস্থিত ছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উত্তেজিত কন্ঠে বলেন, আমার ভাই নির্বাচন করে আমি সেখানে থাকবোনা? আমি মিটিংয়ে আছি আপনার কথা শোনা যায় না বলে পরে ফোন কেটে দেন তিনি।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়ার পথে দুই প্রার্থীর পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষনিক আমি এবং অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে আহত হবার অভিযোগ করা হয়নি।
Leave a Reply