কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নে লক্ষ্মীমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা ওই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রসুলপুর গ্রামের দত্ত বাড়ির শতবর্ষী লক্ষ্মী মন্দীরের ভেতরে থাকা জয়া, নারায়ন ও বিজয়া’র ঘাড়, মাথা, হাত, নাক সহ মূর্তির বিভিন্ন অঙ্গ ভাংচুর করা হয়েছে। ওই ঘটনার সংবাদে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,দেবিদ্বার থানার ওসি, নিজেরা করি সংস্থা, স্থানীয় ইউপি চোয়ারম্যান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূঁজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রসুলপুর গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক সূনীল চন্দ্র দত্তের স্ত্রী সূনীতি রানী দত্ত জানান, আমরা ওই মন্দিরে প্রত্যেহ আরাধনা করে থাকি। অন্যান্য দিনের মতোই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় মন্দিরে পূজা ও প্রণাম জানাতে গিয়ে দরজা খুলেই দেখি ভেতরে থাকা মূর্তিগুলো ভাঙচুর অবস্থায় পড়ে আছে।
প্রবীণ শিক্ষক ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ’র সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সূনীল চন্দ্র দত্ত(৭২) ও বল রাম দত্ত(৮৫) জানান, মন্দিরটি আমাদের পূর্বপুরুষরাও পূজা-অর্চনায় ব্যবহার করেছেন, আমরাও করে আসছি। যার বয়স প্রায় ১২০ বছর হবে। এ ঘটনা শোনার পর স্তম্ভিত হয়ে পড়ি।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল আনোয়ার জানান, মন্দিরের দরজায় তালা না থাকার সুযোগে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা, কি কারনে এটি
ঘটিয়েছে তা বোধগম্য নয়। এব্যপারে অভিযোগ গ্রহনপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিষয়টি অবগত আছেন, এব্যপারে তদন্ত অব্যাহত আছে, তদন্তে অপরাধীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। মূর্তি ও মন্দীরের সংস্কারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহায়তা প্রদান
করা হবে। এ ব্যপারে এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে ঘটনা তদন্তে সহায়তার আহবান জানান তিনি।
Leave a Reply