রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন বশেমুরবিপ্রবি’তে তিন দিনব্যাপী সাইকোমেট্রিক টুলস ও সাইকোলজিক্যাল এসেসমেন্ট ট্রেনিং সম্পন্ন চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ কেআইবি’তে এলডিডিপির মিডটার্ম রিভিউ কর্মশালা বশেমুরবিপ্রবি রোভার-ইন-কাউন্সিলের সভাপতি অনিক সম্পাদক ফারিহা চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে ব্যাপক পরিবহন চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ চালক-মালিকসহ সাধারণ যাত্রীরা রবিতে ইকোন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত  ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজে অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক উপায়ে শেরপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সংসদ বশেমুরবিপ্রবির নয়া নেতৃত্ব নির্বাচিত রবির অর্থনীতি বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত  চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ কয়রায় খাস জমিতে ভবন নির্মাণ, ব্যবস্থা নেয়নি ইউএনও চকরিয়ায় বিএনপি নেতার উপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা; চমেকে প্রেরণ লামায় জায়গা-জমির বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৭ স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন শিক্ষার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে নোবিপ্রবি প্রশাসনের অনুদান সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ছাত্রদলের নতুন সাংগঠনিক টিম গঠন চকরিয়ায় বিএনপির ঘরে আওয়ামীগের গোপন সোর্স বশেমুরবিপ্রবি সেইভ ইয়ুথের নেতৃত্বে সজল-সামিরা পরীক্ষা শেষে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ২ বন্ধু নিহত গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি)’র চকরিয়া উপজেলা কমিটি গঠন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের ফ্রেশার্স ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

বাঙালির হৃদ স্পন্দন – বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

মতামত ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩১১ ০০০ বার

বাঙালির হৃদ স্পন্দন – বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় তারই হাতে এক ঝাঁক তরুণ, স্বাধীনতাপ্রেমীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩ বছরের ইতিহাস- গৌরব,ঐতিহ্য,সংগ্রাম এবং সাফল্যের ইতিহাস। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভাষা আন্দোলনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছে। এই আন্দোলন, সংগ্রাম করতে গিয়ে বাংলা ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন অনেকেই।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন, যাতে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ভ্যানগার্ড ছিল। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দূর্বার ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলে যা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি দিয়েছিলেন, যা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছয় দফা আন্দোলনকে সফল করতে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছিল। ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে বাংলার ছাত্রসমাজ সারাদেশে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলে। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বাংলার ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন।
সারা বাংলাদেশে পাকিস্তানের অনিয়ম,দুর্নীতি, অপশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে তৎকালীন ছাত্রলীগ। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত করতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে ছাত্র সংগ্রাম পষিদ গঠিত হয়। নূরে আলম সিদ্দিকী, তোফায়েল আহমেদ, আসম রবসহ তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। ছাত্রদের সাথে যুক্ত হয়েছিলো সে সময়ের নানা পেশার মানুষ। তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ ও যুক্ত করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশী।এই আন্দোলনের তীব্রতা এবং অবদান বুঝা যায়, সে সময়ের আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের তালিকা দেখলে।
১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলনের দিনগুলিতে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো ইকবাল হল (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) থেকে। ছাত্রলীগের মূল নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার জন্য অপারেশন সার্চ লাইটের প্রথম লক্ষ্যবন্তু ছিলো জহুরুল হক হল। সেদিন রাত থেকে ২৬ মার্চ সারা দিন রাত ঐ হলের উপর নীলক্ষেত রোড থেকে মর্টার, রকেট লাঞ্চার, রিকয়েলস রাইফেল এবং ভারী মেশিন গান ও ট্যাংক থেকে প্রচণ্ড আক্রমণ পরিচালিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে এ মুনিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭১-৭২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে লিখেছিলেন, শুধু জহুরুল হক হলেই ছাত্রলীগের প্রায় ২০০ জন সদস্য নিহত হন। ২৬ মার্চ সকালের দিকে সেনাবাহিনীর কন্ট্রোল রুম ও ৮৮ ইউনিটের মধ্যে যে কথোপকথন হয় তা থেকে জানা যায় ক্যাম্পাসে ৪০০ জন ছাত্রলীগ সদস্য নিহত হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রের যাত্রা শুরু হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে আল-বদর বাহিনী কর্তৃক অপহৃত শিক্ষকদের ছাত্রলীগের নেতৃত্বে অনুসন্ধান শুরু হয়। মিরপুর, রায়ের বাজার, মোহাম্মদপুরের বধ্যভূমি থেকে যে সব শিক্ষকের লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিলো ছাত্রলীগের আবেদনে তাদের দাফন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গনে। মসজিদ প্রাঙ্গনেই শহীদ শিক্ষকদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এতে যোগদেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশ অনেক দূর পিছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন থেমে থাকেনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদশ ছাত্রলীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা প্রশংসনীয়। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যুদ্ধাপরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
১৯৭৩ সালের ৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে বেটে খাওয়ালেও বাংলা সোনার বাংলা হবে না, যদি বাংলাদেশের ছেলে আপনারা সোনার বাংলার সোনার মানুষ পয়দা করতে না পারেন।’ তাই তো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর ব্রত সোনার মানুষ হওয়ার।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার সোনালি অতীতের মতো সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়বে। আর সে জন্যই দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে সর্বোচ্চ অবদান রাখছেন। ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নে প্রযুক্তি দক্ষ ছাত্রসমাজ তৈরিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করছে ও করবে।

লেখকঃ শামীম আল মামুন পাভেল,
সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,
পাবনা জেলা শাখা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..