পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে প্রকাশ্য বিভাজনে জড়িয়ে পড়েছেন পাবনার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। মনোনয়নে দলের ত্যাগী নেতারা অবমূল্যায়িত হয়েছেন দাবি করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলীয় সভানেত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাবুর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবুর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারোফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন।
আরও বক্তব্য দেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তসলিম হাসান সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলী বিশ্বাস, যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ উদ্দিন প্রধান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রকিব হাসান টিপু, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ফুরকান মালিথা, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাহা, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল আলম তৌফিক, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুন্নাহার রেখা ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে জেলা আওয়ামী লীগের ১২ জন ত্যাগী নেতারা ফরম তোলেন। এদের মধ্যে যে কাউকে মনোনয়ন দিতে লিখিত আবেদনও করেন তারা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে জামায়াত পরিবার থেকে দলে আসা একজনকে মনোনয়ন দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
এদিকে, মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করে সমর্থন দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ উদ্দিন প্রধানকে। তৃণমূল রক্ষায় দ্রুত কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, সম্প্রতি পাবনায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি গভীর সংকটে পড়েছে। সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, মনোনয়ন না পাওয়ার হতাশা থেকে অনেকেই নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। আশা করছি দ্রুতই তারা বিভেদ ভুলে দলীয় প্রতীক নৌকার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি ১৯৩ বছরের পুরনো পাবনা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply