কৃষি গবেষকদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা
ভার্সিটি লাইফের কোনো এক পর্যায়ে এসে একটা বিষয় আমাকে অনেক ভাবিয়ে তুলে।
কিছু প্রশ্নের উত্তর পাইনি এখনও।
বিষয়টা জাতীয় এবং অর্থনৈতিক। আমরা সবাই জানি দেশের সিংহভাগ রপ্তানি আসে আরএমজি থেকে। একক পণ্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি মূল্যে আমদানিকৃত পণ্য জানেন কোনটি? সেই আরএমজি কাঁচামাল, তূলা। আরএমজি খাতে রপ্তানি আসে ৩২ বিলিয়ন ডলার। আর তূলা কিনতেই যায় ৪ বিলিয়ন ডলার। অদূর বছরগুলোতে তা ৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছাবে।আমরা যে পরিমাণ তূলা উৎপাদন করি তা মাত্র ৩% চাহিদা মিটায়। বাকি ৯৭% তূলা কিনে আনতে হয়।
আমরা পড়ে আসছি ব্রিটিশরা আমাদের মাটি ব্যবহার করে নীল চাষ করে নিয়ে যেত তাদের দেশে। আমরা পড়ে আসছি আমার দেশের মাটি খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি। সে সোনার মাটিতে এত দামি একটা কৃষিপণ্য কেন আমরা উৎপাদন করতে পারিনা?
অনেকে বলতে পারেন আমাদের জলবায়ু তূলা চাষের উপযোগী না। আমার কথা হল আপনারা উপযোগী করে নেন।বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করেন। তূলা গবেষণা কেন্দ্র যদি আপ্রাণ চেষ্টা করত হয়ত এতদিনে আমরা এর আমদানি অনেকাংশে কমাতে পারতাম। ধান নিয়ে এত এত গবেষণা হয়, কই কখনও তো শুনি নাই তূলার চাষ নিয়ে কিছু করা হয়েছে। বিআরআরআই, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যদি এই বিষয়টা নিয়ে আরও গবেষণা করতেন হয়ত আমাদের অর্থনীতির জন্য আরও ভাল কিছু হত।।
পরিশেষে বলতে চাই, আমরা চাইলেই পারি ভালো কিছু করার। তাতে সময় আর শ্রম দিতে হবে। আমেরিকায় একজন ট্রান্সফরমার রোবট বানাতে ১২ বছর সময় নিয়েছিলেন। আশা করব মাটি, আবহাওয়া উপযোগী একটা ফসল উৎপাদন করতে এর চেয়ে অনেক কম সময় লাগবে।
লেখকঃ নাঈম সারোয়ার মহসীন,
ব্যাচ:৪১, বিভাগ: টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজম্যান্ট,
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা, বাংলাদেশ।
Leave a Reply