নীল স্বপ্ন
আমাকে একটা শাড়ি কিনে দেবে!
“নীল শাড়ি “?
আর তার সাথে ম্যাচীং করা ব্লাউজ আর পেটিকোট?
জানো, খুব ইচ্ছে করে একদিন আমি তোমার জন্য সাজবো,
শুধুই তোমার জন্য।
হাত ভর্তি এক রাশ নীল রেশমী চুড়ি পড়বো,
ঠিক ওগুলো পড়বো নাহ্ যা তুমি সেদিন আমাকে দিলে।
চাই আমি, নতুন করে আমার জন্য নিজ হাতে বাছাই করে নীল চুড়ি নিয়ে আসো।
যেনো আমি চুড়ির ঝনঝন শব্দে তোমাকে মাতিয়ে রাখতে পারি।
চুল ছেড়ে আসবো সেদিন।
কোঁকড়া চুলে নাকি আমায় পাগলের মত লাগে?
কত বার সে কথা শুনেছি তোমার মুখে, তার কোন হিসেব আমি ঠিক দিতে পারবো নাহ্।
তবুও কেন জানি আমি পাগলের মত থাকতে চাই,
হয়ত বা চাই, তুমি একটুখানি হাত বোলাও আমার চুলে।
অথবা….
নাহ্ থাক আজ না হয় নাই বা বলি, সে কথা না হয় অন্য সময় আদায় করে নিও?
নীলিমার মত একটা ছোট্ট নীল টিপ পরবো সেদিন ।
তোমার দৃষ্টিকে আরো গভীরতা দিতে চোখে দেব হালকা কাজল।
শুনেছি কাজলে নাকি মায়াবতী কে আরো মহিনী লাগে?
তুমি অবশ্য আমাকে কখনো মায়াবী বলোনি,
বলোনি কখনো, “বাহ্ আজ তো তোমায় বেশ লাগছে। ”
চাঁদ আর গোলাপের সাথেও কখনও উপমা দাওনি,
প্রকৃতিতে থাকা আর পাঁচটা সুন্দরের সাথেও কখনও আমার সৌন্দর্যের তুলনা তুমি করোনি।
হয়তো বা কিছু খুঁজেই পাওনি, নাকি খুঁজতে চাওনি?
এমন মোটামুটি দেখতে মেয়েটাকে কোন কিছু দিয়ে হয়তো বা বর্ণনাই করা যায় না।
অনেক স্বাধ আমার এক জোড়া দুল পড়বো,
“ঝুমকো”।
আমার কান বেয়ে দুলটা গলাতে এসে বারবার স্পর্শ করবে।
আমিও বারবার চুল সরিয়ে দুলটাকে উন্মুক্ত করে দেব,
ইচ্ছে করে।
যেন সে তোমার চোখে পড়ে।
তুমি যেন একটা বার দুলটা ছুঁয়ে দেখতে চাও,
চাও তুমি তাকে স্থির রাখতে।
আমি চাই, জানো তো আমি আজো খুব করে চাই।
আজো আমি মনে মনে ভাবি,
তুমি আমার জন্য একগুচ্ছ বেলি ফুলের মালা নিয়ে আসবে,
শুধু আমার চুলে পরাবে বলে।
শুধু তার ঘ্রাণ নিতে পারবে বলে।
আর আমাকে তাক লাগিয়ে পকেটে লুকিয়ে রাখা একটা নুপুর?
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছো।
একটা নুপুর
চাই তোমার সমস্ত ভালবাসা দিয়ে আমার পায়ে নুপুর পরাও।
হুম , একটা নুপুর ।
বাকিটা না হয় তোমার কাছেই থেকে যাক, স্মৃতি হয়ে।
লেখকঃ তাছলিমা রুপ পুতুল,
ফার্মেসি বিভাগ,
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
Leave a Reply