ফেনী জেলার সোনাগাজীতে দৈনিক ইত্তেফাকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা শরিয়ত উল্লাহ আরেফিনের ওপর স্থানীয় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি (ডিআইইউসাস)। এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি জাফর আহমেদ শিমুল ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ তাওসিফ মূছা এ হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সংগঠনের দপ্তর, প্রচার,প্রকাশনা সম্পাদক কাজী ফিরোজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে গত সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য শরিয়ত উল্লাহ পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়িতে যান। উল্ল্যেখ্য, তার পরিবারের সঙ্গে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ ছিল প্রতিবেশী শহিদ উল্লাহদের। শরিয়ত বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করেছে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও স্থানীয় আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আয়ুব নবী ফরহাদ। শরিয়তের পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গতকাল সোমবার দুপরে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতা ফরহাদের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা শরিয়ত উল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করে। এসময় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাম চোখ, নাক জখম করে সন্ত্রাসীরা। হামলায় শহিদ উল্লাহ, মো. জসিম উদ্দিন, ওমর ফারুক আরও কয়েকজন অংশ নেন।
ডিআইইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের উপর এমন বর্বরতা,নৃশংসতা যেমন উচ্চ পর্যায়ের সাংগঠনিক সীমালঙ্ঘন তেমনি তা একটি ফৌজদারি অপরাধ(ক্রিমিনাল অফেন্স)। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। একই সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করবেন; যাতে করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে। অন্যথায়, দেশের সকল ক্যাম্পাস সাংবাদিকেরা দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।”
Leave a Reply