পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চোরের উপদ্রব আশঙ্কাজনক হারে দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে প্রায়ই গরু চুরি হচ্ছে। তার মধ্যে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাজাখালী গ্রামের ৭টি,মুরাদিয়া ইউনিয়নের সন্তোষদি গ্রামের ৭টি, পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ১টি, লেবুখালী ইউনিয়নের আঠারগাছিয়া গ্রামে ২টি,আংগারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের ২টি গরু চুরি হলেও চোর সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজার, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের তালতলি বাজার, দুমকী মাদ্রাসা ব্রিজ, পাংগাশিয়া ধোপার হাট বাজার সহ রাস্তার আছে পাশের বিভিন্ন দোকানপাট গুলোতে নগদ অর্থসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে গেলেও অদ্য পর্যন্ত কোন চোর চক্রকে সনাক্ত করা যায়নি। তাছাড়া বছর খানেক পূর্বে দুমকী উপজেলার বিভিন্ন বাড়ির সিধ কেটে স্বর্নালঙ্কার,মোবাইল, টাকা পয়শা চুরি হলেও এখন পর্যন্ত কোন চোর গ্রেফতার হয়নি। জনগনের ধারনা একটি সংঘবদ্ধ শক্তিশালী চোর চক্র দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের চুরির কাজে লিপ্ত রয়েছে। বছর খানেক পূর্বে দুমকী উপজেলার বিভিন্ন বাসাবাড়ির গেট ভেঙ্গে কয়েকটি হোন্ডা চুরি করে নিলেও তাহারও অদ্য পর্যন্ত কোন হদিস মেলেনি। চুরি হওয়ার ঘটনায় প্রায়ই জনগনের প্রতিনিধিত্বকারীরা ও স্থানীয় প্রশাসন গিয়ে শান্তনা দিয়ে চলে আসলেও পরবর্তীতে চুরির ঘটনায় অদ্য পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। মুরাদিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন যে তার ইউনিয়নের ৫,৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের অহরহ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তিনি চৌকিদার দিয়ে পাহারা দিলেও সঙ্গবদ্ধ চোরেরা চুরি করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক তিনি ব্যবস্থা নিবে বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের কাছে চুরির ঘটনার বিষয়ে আলাপকালে তিনি বলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে নিয়ে চুরির বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। মুরাদিয়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী মশিউর রহমান জানান যে, গত ১৩ই এপ্রিল দিবাগত রাত্রে তার ৩টি গরু ,সচীনের ৩টি গরু ও চান মিয়ার ১টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। যার মূল্য ৩লক্ষাধিক টাকা। এ বিষয়ে দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসানকে অবহিত করেন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply