সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রথম আলোতে ভুল সংবাদ প্রকাশে রবিসাসের তীব্র নিন্দা আশ্বাসের ফাঁদে আটকে নোবিপ্রবির একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন মডেল হতে পারে বরিশাল : শারমিন বিনতে সিদ্দিক মেধা ও মননের বিকাশে নেভি এ্যাংকরেজ স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন জমি বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা, পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান বর্ষা বন্দনা: প্রকৃতি এবং জনজীবন কয়রার মহারাজপুরে ভিডব্লিউবি সঞ্চয় নিয়ে গুজব, চক্রান্তের মুখে চেয়ারম্যান মাহমুদ নোবিপ্রবিতে শিক্ষক বাদশা মিয়ার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মশাল মিছিল সাহসী সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কৃত হলেন গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি লিটু দুর্নীতি-অনিয়ম ঠেকিয়ে স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন ইউএনও রুলি বিশ্বাস নোবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগ বিতর্কে নেপথ্যে যা জানা গেল হামলার শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল বাকেরগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন সভায় হামলা, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর ছাত্র-জনতার উপর হামলার আসামি হারুন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আতঙ্কে এলাকাবাসী জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে যবিপ্রবির ফিজিওথেরাপি বিভাগে দোয়া মাহফিল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে “কুইজ ও আলোচনা সভা” অনুষ্ঠিত  নারী শিক্ষার্থীর থেকে চাঁদা দাবি; কথিত সাংবাদিককে শিক্ষার্থীদের গণধোলাই নোবিপ্রবিতে একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১০১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী যবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিজিওথেরাপি কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন   নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের বাসে সন্ত্রাসী হামলা নোবিপ্রবিতে সিজিপিএ ভিত্তিতে ছাত্র পরিষদে মনোনয়ন : শিক্ষার্থীদের তীব্র ক্ষোভ নোবিপ্রবিতে জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব ১৮ জুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বরখাস্ত নোবিপ্রবি শিক্ষক : ছাত্রীরও শাস্তির দাবি শিক্ষার্থীদের  নোবিপ্রবিতে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন

যাকাত ধনীদের অনুগ্রহ নয়; এটি গরিবের প্রাপ্য অধিকার

ফারহানা নওশীন তিতলী
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ মে, ২০২১
  • ১৩৬৭ ০০০ বার

যাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ও বৃদ্ধি। যাকাত প্রদানে মানুষের সম্পদ পবিত্রতা লাভ করে। এতে করে সম্পদ কমে না বরং আরও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আমাদের সমাজের সম্পদশালী ধনী মানুষেরা গরীবদেরকে কিছু দিতে কার্পণ্য করে। তারা মনে করে গরীবদেরকে দান করলে তাদের অর্থ সম্পদ কমে যাবে! এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়া’লা বলেন, মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায় তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা (যাকাত) দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে। (সুরা: আর-রুম, আয়াত: ৩৯)।

যাকাত গরিব মিসকিন ও বঞ্চিতদের হক। সেটি আপনি আমি কখনই আত্মসাৎ করতে পারি না। আমাকে আপনাকে আল্লাহ সম্পদশালী করেছে তার মানে এই নয় যে, সেই সম্পদে কারো হক নেই। বরং ইসলামী বিধি বিধান অনুসারে ধনীদের ৪০ ভাগের ১ ভাগ সম্পদ গরিব অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশনা রয়েছে। অথচ আমরা গরিব-মিসকিন ও অসহায় মানুষদেরকে দান করতে কার্পণ্য করি। যাকাত সম্পদের শতকরা আড়াই শতাংশ হিসাবে আল্লাহর নির্ধারিত খাতে এটি বণ্টন করতে হয়। যাকাত গরিবের প্রতি ধনীর অনুগ্রহ নয়; বরং এটি তাদের প্রাপ্য অধিকার। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তাদের (ধনীদের) ধনসম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতের হক।’ (আয-যারিআত, আয়াত: ১৯)

যারা যাকাত প্রদান করে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ, আর যারা যাকাত দিতে কার্পণ্য করে তাদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। এ বিষয়ে এক হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোন বান্দা যখন যাকাত আদায় করেন, তখন আল্লাহর আদেশে একজন ফিরিশতা তার জন্য এভাবে দু‘আ করতে থাকেন, হে আল্লাহ, আপনার পথে যে দান-সদাকা, যাকাত দেয়, তার সম্পদকে আপনি বৃদ্ধি করে দিন, আর যে ব্যক্তি সম্পদ ধরে রাখে (যাকাত দেয় না) তার সম্পদ আপনি ছিনিয়ে নেন। (সহীহ বুখারী)

সম্পদশালী ব্যাক্তিরা মনে করেন যে, যাকাতের দ্বারা তাদের সম্পদ কমে যায়! এটা নিছক ভুল ধারণা। কেননা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন যে, যাকাত আদায়ের ফলে তিনি তার প্রিয় বান্দাদের সম্পদ দ্বিগুন করে দিবেন। যাকাত অর্থ-সম্পদকে পবিত্র করে, মানুষের মন-মস্তিস্ককে গর্ব-অহংকার, লোভ-লালসা, কৃপনতা ও মলিনতা থেকে পরিচ্ছন্ন করে রাখে। সেই সাথে নিজের উপার্জিত অর্থ সম্পদে সমাজের অসহায় ও অবহেলিত মানুষের উপকারে আসে। যাকাত আদায় করলে বাহ্যিকভাবে সংখ্যায় মনে হয় যেন সম্পদ কমে যাচ্ছে। কিন্তু পক্ষান্তরে যাকাত আদায় করলে আল্লাহ তা‘আলা অবশিষ্ট সম্পদে প্রভূত বরকত দান করেন। আবার যাকাতের মধ্যে যে সম্পদটুকু খরচ হয়, আল্লাহ তায়ালা ভিন্ন কোন উপায়ে সেই সম্পদ আবার ফিরিয়ে দেন।

হাদিস শরীফে যাকাতকে ইসলামের সেতুবন্ধন বলা হয়েছে। কারণ, এটি ধনী ও গরীবের মাঝে অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। মুসলিম সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে যাকাতের ভূমিকা অত্যধিক। যে ব্যাক্তি যাকাত দিতে কার্পণ্য করে সে মূলত আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করে নাফরমানী করছে। অপরদিকে মহান আল্লাহ যাদেরকে তার সম্পদের একাংশ দিতে বলেছিলেন তারা গরীবের সেই সম্পদ আত্মসাৎ করল।

ইসলাম ধর্মে ধনী-গরীবের ভেদাভেদ দূরীকরণের জন্য যাকাতের বিধান দেওয়া হয়েছে। ধনীরা যেন যাকাতের মাধ্যমে গরীবকে সহায়তা করে তাদের পাশে থাকে সেজন্য আল্লাহ তায়া’লা এটি বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণের পর সাড়ে বায়ান্ন তোলা পরিমাণ রূপা অথবা সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ স্বর্ণ থাকলে অথবা এগুলোর সমমূল্যের ব্যবসার মালিকানা থাকলে মোট সম্পদের আড়াই শতাংশ হারে যাকাত দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মূলত রমাদান মাস আসলে ৭০গুণ সাওয়াবের আশায় মানুষ এই সময়ে বেশি যাকাত প্রদান করে থাকে। যাকাত দেওয়া ফরজ হয়েছে এমন প্রতিটি মুসলিম সমাজে যাকাত প্রদান করে গরীবের হক আদায় করে দরিদ্রতা দূরীকরণে এবং সমাজে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে ধনী মানুষেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী। লোক দেখানো যাকাত প্রদান নয়, বরং অসহায় মানুষের প্রাপ্য অধিকার বুঝিয়ে দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হোক সকল মুসলমানদের মূখ্য উদ্দেশ্য।

লেখকঃ মুরতুজা হাসান,
শিক্ষার্থী,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..