পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে স্বামীর সরলতার সুযোগ নিয়ে পরকিয়া প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে তিন সন্তানের এক জননী। স্বামীর ঘর ছেড়ে পালাবার সময় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পরকিয়া প্রেমিক প্রেমিকাকে আটক করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করেছেন।
আটকৃতরা হলেন পরকিয়ার টানে ঘর ছাড়া তিন সন্তানের জননী উপজেলার কালাইয়া গ্রামের মোসা: ঝর্ণা বেগম (৩০) ও তার পরকিয়া প্রেমের স্বামী ছগীর হোসেন (৪০)।
মঙ্গলবার উপজেলার কালাইয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল খলিফার পুত্র গার্মেন্টস কর্মী সালাম খলিফা ইন্দুরকানী থানায় স্ত্রী ঝর্ণাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কর্ম সূত্রে সালাম ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সালাম খলিফা ও ঝর্ণা বেগমের সংসারে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তাদের কাঠের বসত ঘরটি ভেঙে দালান ঘর নির্মানের কাজ চলছে। নির্মান কাজের জন্য সালাম তার স্ত্রীর কাছে ২ লক্ষ টাকা রেখে কর্মস্থলে চলে যান।
স্বামী বাড়িতে না থাকায় ঝর্ণা তাদের একই গ্রামের মৃত সোবাহানের ছেলে সগীর হোসেনের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তারা সালামের নিজ বাড়িতে বসে বিভিন্ন সময় দৈহিক সম্পর্ক চালাতেন। এক পর্যায়ে গত ২৬ মে সকালে নগদ দুই লক্ষ টাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, আট আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল, চুড়ি ও ব্যবহৃত কাপড় নিয়ে সন্তানদের ফেলে রেখে পরকিয়া প্রেমিক সগীরের সাথে পালিয়ে যান ঝর্ণা।
যার পরেই ২৮ মে ছালাম ডাক যোগে একটি তালাক নামা প্রাপ্ত হন। যাতে ২৬ মে ঝর্ণা সালামকে তালাক দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ কাজে ঝর্ণা ও সগীরকে সহযোগিতা করেছেন হাফিজুল হাওলাদার (৩০) ও সুরমা বেগম (২৫)।
ইন্দুরকানী থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply