শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৫:০১ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
বাংলাদেশ সারাবেলা ডটকমে আপনাদের স্বাগতম। সারাদেশের জেলা,উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে  প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন - ০১৭৯৭-২৮১৪২৮ নাম্বারে
সংবাদ শিরোনাম ::
নোবিপ্রবিতে জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব ১৮ জুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বরখাস্ত নোবিপ্রবি শিক্ষক : ছাত্রীরও শাস্তির দাবি শিক্ষার্থীদের  নোবিপ্রবিতে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন নিয়ম না মানলেও প্রমোশন: নোবিপ্রবির প্রভাষক বিতর্কে প্রশাসন নোবিপ্রবির ১৩ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লোকদের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি নোবিপ্রবিতে স্বপ্ন দেখিয়ে অচলাবস্থা, নীরব দর্শক বিএমবি চেয়ারম্যান নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য! পেশাজীবি লীগ নামে নোবিপ্রবিতে আওয়ামী লীগের গোপন তৎপরতা দাবি না মানলে রংপুর অচল করে দেয়ার হুমকি পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঝিনাইগাতী’র নেতৃত্বে হুরায়রা ও শাহীন চকরিয়ার হারবাংয়ে বনের হরিণ শিকার করে জবাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে: নোবিপ্রবি উপাচার্য পুসাজের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত চকরিয়ায় পুলিশের উপর হামলাসহ একাধিক ডাকাতি; গ্রেপ্তার ৩ আটঘরিয়ায় কোর্টের রায় অমান্য করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা দুই ছাত্রদল নেতার জন্য নিয়মবহির্ভূতভাবে মাস্টার্স চালু করলো নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভলিবল খেলা নিয়ে মারামারি : দুদিন বন্ধ একাডেমিক কার্যক্রম  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে মশাল মিছিল অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে আপনারা সাংবাদিকতাকে উপভোগ করুন : সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব  রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক স্পীকিং ও প্রেজেন্টেশন বিষয়ক কর্মশালা আয়োজিত গোপালগঞ্জ জেলা রোভার স্কাউটের ত্রৈবার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫ উদ্বোধন হাবিব-ফায়েজের নেতৃত্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আত্মপ্রকাশ নোবিপ্রবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মসূচির ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল  স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি 

আবার উৎসবমুখর হওয়ার অপেক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

অভিজিৎ দে,খুবি প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩৭৬ ০০০ বার

দক্ষিণবঙ্গের জ্ঞান অর্জনের তীর্থস্থান ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উচ্চশিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। ইতিহাসের কালো অধ্যায়, একাত্তরের নির্মমতার সাক্ষ্য বহনকারী বধ্যভূমির উপর দাঁড়িয়ে আজকের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। সেশনজট আর ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন করেছে।

ছাত্র রাজনীতির অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানের গুণাবলী বিকশিত না হওয়ার ভয় কাটিয়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে ৩০টির বেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। “বারো মাসে তেরো পার্বণ” আবহমান বাংলাদেশের এই প্রবাদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষ্য করা যায়। বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর উৎসবে মেতে থাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

প্রতিবছর পিঠা উৎসব, বাউল উৎসব, পহেলা ফাল্গুন আর পহেলা বৈশাখে দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে বড় আয়োজন করা হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীদের কাছে বসন্ত মানেই যেন ঈদ উৎসব। বছরের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিন ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে পালিত হয়। এ উৎসব পরিণত হয়েছে বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবে। বসন্তের প্রথম মুহূর্তকে ধরে রাখতে তাই ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীরা মেতে ওঠে নানা উৎসব ও সাজে। আর বসন্ত বরণ উৎসবের কথা না বললেই নয়। ক্যাম্পাসজুড়ে এক মহা উৎসবের আয়োজন। শিক্ষার্থীদের সাজ-সজ্জাই জানান দেয় ক্যাম্পাসে বসন্তের আগমন। সাধারণত মেয়েদের পরনে থাকে বাসন্তী রঙের শাড়ি, হাত ভর্তি চুড়ি, মাথায় থাকে ফুলের গাজরা আর ছেলেদের পরনে থাকে পাঞ্জাবী। এক উৎসব মুখর পরিবেশে মেতে ওঠে সবাই। বসন্তকে বরণ করতে কতই না আয়োজন থাকে ক্যাম্পাসজুড়ে।

 

এছাড়া বছরের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়। তিনদিন ব্যাপী শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান ‘র‍্যাগ ডে’ ক্যাম্পাসের অনুষ্ঠানে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা। আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান তিনদিনের হলেও অন্তত এক মাস পূর্বে থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে।
এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক অনুষ্ঠানে ক্যাম্পাস থাকে সর্বদা মুখরিত। খেলার মাঠে ডিসিপ্লিনগুলোর মধ্যে আন্তঃডিসিপ্লিন ক্রিকেট খেলায় আয়োজন করা হয় প্রতিবছরই। খেলাপ্রিয় ক্যাম্পাসটিতে জয়ী হওয়ার পরে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের মধ্যে আবেগজনিত স্লোগান চোখে পড়ার মতো।

কিন্তু করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলে বন্ধ করে দেওয়া হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর থেকে বিরাজমান পরিবেশ বদলে গেছে। নেই কোনো কোলাহল, নেই কোনো আনন্দ। মাসের পর মাস বন্ধ আছে হলগুলো। সেখানে নেই কোনো প্রাণের আভাস। বসন্তের আগমনে সেজে ওঠার বদলে জরাজীর্ণ আর বিষন্নতায় ভরে আছে ক্যাম্পাস। যেখানে বছরের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনে ক্যাম্পাস মুখরিত থাকে। এবং তাদেরকে বরণ করতে চলতে থাকে নানা আয়োজন। অথচ এবারে আগমন ঘটেনি কোনো নবীন শিক্ষার্থীর। করোনার ভয়াল থাবা পাল্টে দিয়েছে সব কিছু। হাদী চত্বর, ক্যাফেটেরিয়া, মুক্তমঞ্চ, অদম্য বাংলা, খানজাহান আলী হল চত্বরে দু একজনের দেখা মিললেও সেখানে নেই আগের মতো আড্ডা,কোলাহলে ভরপুর পরিবেশ।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলতে পারবে। তাই এখন রয়েছে শুধু আক্ষেপ, আর শিক্ষার্থীরা গুণছেন অপেক্ষার প্রহর।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..