আর মাত্র ক’দিন পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। পানছড়ি উপজেলায় (থানা) ০৫টি ইউনিয়নে এবছর ১০টি পূজা মন্ডপে চলবে দূর্গা বন্দনা। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, এখন চলছে রং তুলির কারুকার্য। প্রতিমা শিল্পীরা রং তুলির কাজ নিয়ে পার করছেন ব্যস্ত সময়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এবার ১০টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রতিমা শিল্পীরা তাদের নিপুন হাতের কারুকার্যে ও রং তুলির আঁচরে প্রতিমাগুলিকে সৌন্দর্য বর্ধন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিছু কিছু মন্ডপে সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের পর চলছে মঞ্চ ও অন্যান্য ডেকোরেশনের কাজ।
সকলের সুখ ও মঙ্গল কামনায় মায়ের আগমন ঘটবে এবার। সকল অশুভ শক্তি ও অসুর শক্তির বিনাশ হবে। পৃথিবীর সুন্দর ও শাশ্বত সুন্দরের জয় হবে, এমনটায় আশা করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
প্রতি বছরের মত এবারও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি চালের সমপরিমাণ ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা অনুদান দেবে সরকার। সাথে থাকছে শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) ও স্থানীয় এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার।
এদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে প্রতিমা শিল্পীরা আগে যে মজুরী পেতেন গত দুই বছর ধরে সে পরিমাণে অর্থ না পাওয়ায় ভালো নেই তারা।
প্রতিমা শিল্পীরা বলেন, পূজার আগে এক মাস কাজ করে যে আয় হয় তাদের তা দিয়ে সারা বছর চলতে হয়। করোনার আগে পূজার সময়ে তিনি প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার কাজ করতেন। কিন্তু এবার মাস জুড়ে তার শ্রমের মূল্য ৫০ হাজারও হচ্ছেনা।
পূজা মণ্ডপগুলোতে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আনসার ও গ্রাম পুলিশের সাথে সাথে পুলিশের মোবাইল টিম সহ সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল টিম কাজ করবে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply