ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেছেন, রাষ্ট্রে দ্রুত নাগরিক সেবা প্রদান এবং গ্রহণের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আবশ্যক। সকলের নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তাৎক্ষনিক যেকোন সেবা প্রদান সহজ হবে। জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, উন্নত দেশে পপুলেশন রেজিস্টার থাকে। এই রেজিস্টারে প্রত্যেক সিটিজেনের তথ্য থাকে। আমাদেরে দেশের এরকম প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। এ প্রচেষ্টার প্রথম ধাপ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন। জনাব অতুল সরকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম ধাপ অতিক্রম করছি। ফরিদপুর পৌর এলাকার নিবন্ধনের বিষয়ে বলেন, এতদিন প্রায় দেড় লাখ নাগরিকের জন্য মাত্র একটি আইডি দিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম হতো। তবে অচিরেই ৯টি আইডির ব্যবস্থা করা হবে। পর্যায়ক্রমে ২৭ টি ওয়ার্ডের জন্য ২৭ টি আইডির ব্যবস্থা করা হবে।
আজ বুধবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন স্লোগানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারেরর উপপরিচালক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শীলা রানী মন্ডল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন সহকারী কমিশনার (গোপনীয়) তারেক হাসান।
উন্মুক্ত আলোচনায় রাসিনের নির্বাহী পরিচালক আসমা আক্তার মুক্তা, পৌর কাউন্সিলর হানিফ শেখ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান, ফরিদপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ নানা শ্রেনি পেশার দেড় শতাধিক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করে।
Leave a Reply