সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। “সাম্প্রদায়িকতা রুখে দাঁড়াও, সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ো” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে করা হয় এই মানববন্ধন।
বৃহস্পতিবার (২৮ই অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাংবাদিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও বিভিন্ন সংগঠন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে শত শত নারী, পুরুষ ও শিশু অংশ নেন। এসময় তাদের হাতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লেখা বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি জিতেন বড়ুয়া। এতে সাংবাদিক আবু দাউদ’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক অরণ্য বার্তা’র সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নুরুল আজম, জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, নারী উদ্যোক্তা ও সমাজ কর্মী শাপলা দেবী ত্রিপুরা, সাংবাদিক ও নারী অধিকার কর্মী চিংমেপ্রু মারমা, সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক)’র প্রতিনিধি লালসা চাকমা, পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, এডভোকেট নাসির উদ্দিন সুজন, এডভোকেট বিধান কানুনগো, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি সুপ্তা চাকমা প্রমুখ।
সারাদেশে এ যাবত হামলার বর্ণনা তুলে ধরে ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ও আড়ালে থাকা সম্প্রীতি নষ্টকারি ও স্বার্থনীশিদের ইন্ধনে বার বার সংখ্যালঘুদের হামলার জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে দায়ী করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিক নেতা ও অংশ নেওয়া সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা। তাঁরা বলেন, একটি স্বাধীন দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। কোনো প্রগতিশীল মানুষ এ ঘটনা মেনে নিতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে যারা হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা এই দেশে শান্তিতে থাকতে চাই। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই দেশের সকল সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীদের নিরাপত্তা দেওয়া একটি আদর্শ রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এদেশে সকল সম্প্রদায়, সকল ধর্মের জান-মালের সুরক্ষা দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ মঠ, মন্দির, মন্ডপ, উপসনালয় রাষ্ট্রের অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
Leave a Reply